কমিল্লা সিটির নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে এলাকায় উপস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এই কারনে তাকে এলাকা ছাড়তে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি এলাকা না ছাড়ার কারনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এবার নির্বাচন কমিশন চিঠির দেওয়ার বিষয় নিয়ে যা বলেন এমপি বাহারের স্ত্রী।
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বাহার বলেছেন, এমপি বাহার কুমিল্লার অভিভাবক, তিনি বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবেন? তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। আমরা মনে করি ইসির এমন চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে কান্দিরপাড়ের কুমিল্লা ক্লাবে তিনি এ কথা বলেন।
কুমিল্লা ক্লাবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ডেকেছিলেন এমপি বাহাউদ্দিন বাহার। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ছুটে আসেন। তবে সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বাহার। সেখানে এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের আসার কথা থাকলেও পরে বলা হয় তিনি আসবেন না।
বাহাউদ্দিন বাহারের স্ত্রী বলেন, এমপি বাহার কুমিল্লার অভিভাবক। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি তার বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবেন। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিও। তিনি কি মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাবেন না? এগুলো কেমন কথা! আমরা মনে করি ইসির এমন চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি। এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ চিঠি। তিনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। নৌকার প্রচারণায় মাঠে নামেনি।
গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এলাকা ছাড়ার জন্য সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে চিঠি দেয়। রপর বাহাউদ্দিন নগরের মুন্সেফ বাড়ি এলাকার নিজ বাসভবন, রামঘাট মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস ও কুমিল্লা ক্লাবে নিজের কাজ করেন।। বাহাউদ্দিনের দাবি, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি। নির্বাচন ছাড়াও তার আরও কাজ আছে।
এদিকে বাহাউদ্দিন বাহার না আসার কারণ সম্পর্কে মেহেরুন্নেসা সাংবাদিকদের বলেন, জনাব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি আপনার সাথে কুশল বিনিময় করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি সবাইকে কুমিল্লা ক্লাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পরে নির্বাচনের কথা চিন্তা করেন। কারণ এখন পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। কারণ তিনি নিজেও আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চান না। এ জন্য এখানে আসেননি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের চিঠি দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মেহেরুননেছা বাহার বলেন, তিনি কুমিল্লার অভিভাবক, এবং মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি দলীয় কার্যালয়ে যাওয়াটা স্বাভাবীক। তিনি আরও বলেন, এমপি সাহেব নির্বাচনী প্রচারনা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন তাছাড়া নির্বাচন আইনও লঙ্ঘন করেননি।