আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রতিটি মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। প্রথমত বিগত দুটি সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। এর মধ্যে দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষনার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধীতার সত্বেও নতুন করে ইভিএমে ভোট নেওয়া সিদ্ধান্ত ইসির ব্যাপক জটিলতার তৈরী হবে। ইভিএমের কারণে ভোট বর্জন হলে দায় কমিশনের বলে মন্তব্য করে যা বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সর্বোচ্চ ১৫০ আসনের সকল কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ইভিএমের কারণে যদি দলগুলো ভোট বর্জন করেন তাহলে এই দায় কমিশনের।
বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেশ কয়েকটি দল ইভিএমের বিরোধিতা করছে। এখন তারা নির্বাচন বর্জন করলে দায় বর্তায় ইসির ওপর, সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী থাকবে, ইসিও দায়ী থাকবে। আমি মনে করি ইসি এখানে শতভাগ একমত নয়। উনারা সরকারি চাপে রয়েছে বলে ভাবছেন।
সিইসির উদ্দেশ্যে তিনি জানান, দেড়শ’ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত ভুল কাজ হয়েছে। এর ফলে হয়ত নির্বাচনই হবে না। নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে বিএনপিকে আনার চেষ্টা রয়েছে। সবাই মনে করে, ইভিএমে আরেকটা চক্রান্ত।
তিনি বলেন, তারা ১৫০টি আসনের পরিবর্তে ৩০০ আসনে ইভিএম করতে পারবে। কিন্তু মাত্র পাঁচটা করে কেন্দ্রে হবে।
প্রতি আসনে শ’ খানেক কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটা হবে আমরা যুক্তি তর্ক দিয়ে দেখতে পারে। আমার পরামর্শকে সিইসি যুক্তিসঙ্গত মনে করেছেন। বলেছেন, দেখি-কি করে কি করা যায়।
তিনি বলেন, কমিশন খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে চলছে। সরকারের উচিত যে কোনো উপায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আজও হানিফ (মাহবুব উল আলম) বলেছেন, দেড়শ নয়, আমরা ৩০০ আসনে ইভিএম চাই। তাদের একেবারে চুপ থাকা উচিত।এখন ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায়, বয়কট হয় তাহলে তা জাতির জন্যে দুর্ভাগ্যজনক হবে বলে উল্লেখ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এদিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ভাসানী আনুষারী পরিষদের একদল প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনিবন্ধিত দলের পক্ষ থেকে তিনি নিবন্ধনের শর্ত শিথিল, ‘না’ ভোট প্রবর্তন এবং গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধনের অনুরোধ জানান।
প্রসঙ্গত, সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন না হলে গনতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়বে বলে মন্তব্য করেন ণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, কোনো কারনে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এ জাতি ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়বে