সম্প্রতি অভিনেতা ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আর এই বিষয়টি নিয়ে শিল্পাঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এতে করে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সম্পর্কে দেশের মানুষের একটি নেতিবাচক ধারনার জন্ম নিচ্ছে বলে অনেকে ধারনা্ করছেন। তাছাড়া চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচন কে কেন্দ্র করে কর্মকান্ড ঘটেছে তার প্রভাব তো এখনো রয়ে গেছে। এবার সানী- জায়েদ দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললেন নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ।
ওমর সানী, মৌসুমী ও জায়েদ খানের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে সম্প্রতি বেশ সরব মিডিয়া অঙ্গন। শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর এ ঘটনা সারাদেশে আলোচিত-সমালোচিত হয়। এ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে এবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ।
তিনি বলেন, একজন শিল্পী হবে সুন্দর মনের মানুষ। শিল্পের অলঙ্কার। কিন্তু যা হচ্ছে তা অসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
কাজী হায়াৎ বলেন, থাপ্পড়, মারা’মারি, নারীদের উ’ত্ত্য’ক্ত করা, পি/স্তল বের করা—সব মিলিয়ে এটাকে অসভ্যতা ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না। এরা কেউই কাজের লোক না, পিঠ চুলকানোই এদের স্বভাব। পরশ্রীকাতরতায় ভরা। আর যার জীবনে সাকসেস না থাকে, সে পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। অন্যের সফলতাকে সে হজম করতে পারে না। এই হচ্ছে এখনকার সমস্যা।
তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে পরশ্রীকাতরতা থাকবে। তবে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। এডুকেশনলেস পিপলদের কাছ থেকে পরশ্রীকাতরতা ভিন্নভাবে বেরিয়ে আসে। থাপ্পড় ও পি/স্তলেরকাণ্ডে সেটাই ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, ওমর সানি অভিযোগ করেছেন যে জায়েদ তার ২৭ বছর বয়সী সংসার ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন। স্ত্রী মৌসুমীকে ‘বিরক্ত ও হয়রানি’ করা হয়েছে। এ জন্য সম্প্রতি ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদকে চড় মারেন তিনি। জবাবে জায়েদ তাকে গু/লি করার হুমকি দেন।
এদিকে জায়েদ বলেন, ওমর সানি তাকে চড় মারেনি। শুধু তাই নয়, জায়েদের কাছে পি/স্তলও ছিল না।
এদিকে, ওমর সানী জায়েদের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে মৌসুমী বলেন, “জায়েদ ভালো ছেলে। জায়েদ কখনো তাকে বিরক্ত বা হয়রানি করেনি। সবসময় সম্মান করেছে।’
উল্লেখ্য, ওমর সানী ও জায়েদ খানের মধ্যে মৌসুমিকে নিয়ে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। তাদের এমন কর্মকান্ডে শিল্পী পবিবার লজ্জার মুখে পড়েছে এবং অনেকে বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত।