বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে। এমনটি ঘটেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংকে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে। তবে সরকারের কিছু অদূরদর্শী নীতির কারণে দেশের জনগনকে আজ ভুগতে হচ্ছে। তবে দেশের মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ দিন দিন গরীব হয়ে যাচ্ছে সেটা সাধারন মানুষ টের পাচ্ছে না। এই বিষয়টি নিয়ে এবার বিশদভাবে বুঝিয়ে দিলেন আব্দুন নুর তুষার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে। যেটা হুবুহু তুলে ধরা হলো-
আপনি ডলারে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু টাকায় আয় করেন। তাহলে ডলারের দাম বেড়ে গেলে আপনাকে বেশি টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হবে। অর্থাৎ বেশি টাকা শোধ করতে হবে।
যমুনা সেতু তৈরীতে যে ঋণ নেয়া হয়েছিলো সেটা টাকায় তখন যা ছিলো সেটা শোধ হয়ে গেছে। কিন্তু ডলারের দাম এই দুই যুগে অনেক বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দ্বিগুনের বেশি টাকা লাগবে ঋণ শোধ করতে।
এবার বোঝেন। আমাদের মাথার পেছনের যে আয় সেটা কিন্তু ডলারে কমে গেছে কারণ আমরা টাকা আয় করে সেটা ডলারে হিসাব করি।
মাথা পিছু ঋণ বেড়ে গেছে কারণ আমরা ডলার নয় টাকায় আয় করি। এক ডলার ঋণ আগে ছিলো ছিয়াশি টাকা। এখন একশ আট।
আমরা গরীব হচ্ছি। টের পাচ্ছি না।
এজন্য বেশ কয়েক মাস ধরে কেউ আয় আর জিডিপি নিয়ে গল্প করছে না। দেশে দু কোটি লোক নতুন বেকার। মনে রাখা দরকার আতশবাজি হলো অপচয়। কারো কোনো কাজে লাগে না। আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপের নতুন সংস্করণ আতশবাজি।
এরা এই কাজ বন্ধ করবে না, আমাদের বলবে মেপে খেতে। তেল নুন চিনি ডিম পেঁয়াজ। চাল ডাল? হিসাব করে চলেন।
এরা আমানত খেয়ানতকারীদের রক্ষা করে। এদের বিচারে চোরের শাস্তি নাই। ক্রিকেট ফুটবল সবখানে জুয়া”ড়ীদের রাজত্ব। শেয়ারবাজার ব্যাংক কিছু বাদ নাই। অতএব হিসাব করে চলেন। খারাপ দিন আসছে।
প্রসংগত, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। পরিতাপের বিষয়, শ্রমিক শ্রেণীর ব্যক্তিরা বিদেশে গিয়ে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আনছে, আর এদেশের একশ্রেণীর সুশিক্ষিত এবং কৌশলী ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে বিদেশে মোটা অর্থ পাচার করছে। সরকারের উচিত এই শ্রেনীর ব্যক্তিদের দমিয়ে রাখা যারা দেশের টাকা পাচার করছে ডলারে। অবশ্য এটা সম্ভব নয় কারণ যারা বাইরে টাকা পাঠাচ্ছে, তারা সরকারের সাথে আঁতাত করে পাঠাচ্ছে অর্থাৎ তারা কেউ কর্মকর্তা কিংবা ক্ষমতাধর ব্যক্তি।