সম্প্রতি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।শুধু তাই নয় ড. ইউনূসের পক্ষে কথা বলায় তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মার্কিন দুতাবাসের দ্বারস্ত হয়েছেন। বিষয় নিয়ে সা/মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ/কটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বি/শিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা হু/বহু পাঠকদের জন্য নি/চে দেওয়া হলো।
এখন একদল ‘সহমতকারী’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের দুর্নীতি-বিপুল সম্পদ-কত খারাপ তার সন্ধান পাচ্ছেন।কেউ দল ত্যাগ করলে তারা এসব পেয়ে থাকেন। দলে থাকলে হাজার বা লাখ কোটির দুর্নীতিও কোনো ব্যাপার না।
আরেক দল পুলকিত এটা ভেবে যে,এমরান সত্য বলেছেন,সরকারকে বিব্র্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন।
‘সহমতকারীরা’ বিব্রত অবস্থা কাটিয়ে ফর্মে ফিরতে সময় নেন নি।কারণ এমরান আমেরিকান দুতাবাস থেকে বাসায় ফিরে গেছেন,উড়োজাহাজে উঠতে পারেন নি।তাদের ধারণা যে,এমরানকে মার্কিন দুতাবাস ফিরিয়ে দিয়েছে,আমেরিকায় নিয়ে যাবে না।
যারা এমন ভাবছেন সেই ‘সহমতকারীদের’ মনে রাখতে হবে যে,কোনো আলোচনা বা ইঙ্গিত ছাড়া এমরান এমন অবস্থান নিয়েছেন?
পুর্বে কোনো কথা না বলে এমরান মার্কিন দুতাবাসে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন? আপনি যান তো,ঢুকতে দেবে?
এমরান দুতাবাসের গেস্ট রুমে দীর্ঘ সময় বসে ছিলেন? গেস্ট রুমে কাদেরকে বসতে দেয় ? আপনাকে দেবে?
সরকার বরখাস্ত করে এমরানকে পুলিশ পাহাড়া দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিল,এখনও নিরাপত্তা দিচ্ছে এমনি এমনি?
আপনার কি মনে হয় না মার্কিন দূতাবাসের অবস্থানের কারণেই এমরানকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে?
স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে এমরানের আমেরিকায় চলে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।এটা একটা গেম। সরকার ভুল করলে,আবারও-আরও বিব্রত হতে হবে।এমরান আমেরিকায় যাবেই,মার্কিন দুতাবাস সব ব্যবস্থা করবে। পুলকিত হওয়ার কিছু নেই।
এমরান সত্য বলেছেন বা যা এখন আপনাদের পক্ষে যাচ্ছে বলে যারা পুলকিত হচ্ছেন,তারা এমরানের পেছনের কাজগুলো বিবেচনায় নেন।তারপর পুলকিত হন,দেখেন হতে পারেন কি না!