বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বা পুলিশকে জানাননি। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ করলে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না। তিনি জানান, তাকে আইন মোতাবেক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর কী করার আছে, আপাতত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়ার সঙ্গে শনিবার একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তিনি কারো সাথে যোগাযোগ করেননি।
এদিকে, ডিবি প্রধান বলেছেন, বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তিনি ইনসিকিউর (নিরাপত্তা শঙ্কা) বোধ করছেন বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিবি) বা পুলিশকে জানাননি। এছাড়া তিনি আমাদের কাছেও আসেননি।
ডিবি প্রধান বলেন, এমরান আহমেদের নিরাপত্তা শঙ্কায় নিয়ে রয়েছেন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমি জানি না কেন তিনি মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। মামলা করা অনেকেই সেখানে যায়। তাদের অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেখানে (দূতাবাসে) গেছেন। অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে সেখানে যান। তার নিরাপত্তার কোনো উদ্বেগ থাকলে তিনি থানায় বা ডিবিতে আসতে পারেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এমরানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এরপর নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নেন এমরান। এরপর সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফেরেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। শুক্রবার সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমরান আহমেদকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন।