মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত চেম্বারের ম্যানহোল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের মুখে ও মাথায় রক্ত ছিল।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার কাছে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। নয়নাল উদ্দিনের নাম রয়েছে। বাবার নাম মৃত আ. জব্বার ও মা হরেজান বেওয়া উল্লেখ রয়েছে। ঠিকানা দেওয়া আছে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর গ্রাম। জন্ম তারিখ ১১ জুন ১৯৬২ সাল।
তবে লাশের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ মেরে ম্যানহোলে ফেলে রাখা হয়েছে।
এমপি ফারুক চৌধুরীর সংগঠনের কর্মীরা জানান, ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত রাজনৈতিক চেম্বারের ম্যানহোলে লাশটি পাওয়া গেছে। এর পাশেই ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন ওমর প্লাজা। সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে লাশটি পাওয়া গেছে।
কর্মচারীরা জানান, এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ওমর ফারুক চৌধুরী তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। যতক্ষণ তিনি অফিসে বসেন ততক্ষণ এর প্রবেশদ্বার খোলা থাকে। চলে গেলে পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। এখানে দলের বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সোমবার রাতে ফারুক চৌধুরী এ কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
কর্মচারীরা আরো জানান, লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করেও এমপি ফারুক চৌধুরীকে পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।