ফারাজ করিম চৌধুরী হলেন ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে। ফজলে করিম চৌধুরী হলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। তিনি চট্রগ্রাম-৬ আসন থেকে নির্বাচিত একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। ফারাজ করিম বানভাসীদের অসীম কষ্টের সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং অনেক কিছু দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্প্রতি জানা গেল তার এই কৃতিত্বের জন্য তিনি কোনো সম্মাননা নিতে রাজি নন এবং প্রস্তাবিত সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
শুরু থেকেই একের পর এক বড় পরিকল্পনার মাধ্যমে সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। তিনি ৪০,০০০ পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন, ৫০১ পরিবারের জন্য ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ঈদ-উল-আযহায় ১০০টি গরু জবাই করেছেন। এ কর্মসূচিতে ব্যয় হচ্ছে তিন কোটি টাকার বেশি।
নিরাপদ সিলেট নামের একটি সংগঠনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আয়ান বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ৮টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে একশটি কোরবানির গরু কেনার জন্য ফারাজ করিম চৌধুরীকে ফোন করেন এবং বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় ফারাজ করিম চৌধুরীকে একটি স্মারক উপহার দেন। এসময় তিনি আগামীতে সিলেটে ভূমিকম্পসহ যেকোনো মানবিক দুর্যোগে ফারাজ করিম চৌধুরীর পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জবাবে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, বাবা-মা, ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি যা করি সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার জন্য। বানভাসি মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করতে আমাকে আরও ১ মাস ব্যস্ত থাকতে হবে। আমাকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. আমাকে সম্মান জানাতে যে ক্রেস্ট বা উপহারের অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল তাও বানভাসিদের জন্য ব্যয় করা আরও ভাল হবে। ভাই-বোনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সম্মানের প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, ফারাজ করিম চৌধুরী হলেন বাংলাদেশের সকল যুবকদের জন্য আদর্শ। তিনি কোনো ধরণের অন্যায় সহ্য করতে পারটে না। অন্যায় দেখলে তিনি তার একেবারে উপযুক্ত বিচার করে শাস্তি প্রদান করেন। তার মত একজন মানুষ বাংলাদেশের জন্য খুবই দরকার।