ফারাজ করিম চৌধুরী চৌধুরী মানবাধিকার কাজ করে বেশ সমালোচনায় এসেছেন। মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে তিনি ঝাঁপিয়ে পরেছেন অপরাধকারীর উপর করেছেন কঠোর প্রতিবাদ। যেকোনো ধরণের সমস্যায় ফারাজ করিম হস্তক্ষেপ করে তার সমাধান করেছেন। সম্প্রতি জানা যায় তিনি বানভাসীদের সাহার্যার্থে ৫০০ ঘর নির্মাণ করে দিবেন।
ফারাজ করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার ব্যাপক ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। দেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে ওই যুবক বন্যা কবলিত এলাকায় অবস্থান করছেন। সেখানে বানভাসি মানুষের পাশে রয়েছে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য। তার জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বন্যার্তদের পাশে রয়েছেন ফারাজ। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে বন্যা দুর্গতদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছেন। সেই সাহায্যের টাকায় তিনি খাবার কিনে অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জ তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে ছাতক ও তাহিরপুর উপজেলার অনেক ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। বন্যা কবলিত গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ জুন) এক ফেসবুক ভিডিও বার্তায় ফারাজ চৌধুরী জানান, বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর গ্রামের বাড়ি-ঘর সব বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কিছু বাকি নেই। সুতরাং এক আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঘোষণা দিলাম- সেই গ্রামটা আমি পুরোপুরি আবার নতুন করে বানাবো ইনশাআল্লাহ। তার মানে, গ্রামের ১টা-২টা, ৩টা-১০টা, ৩০-৪০-৫০-৮০ আর ১০০টা না, ২০০, ৩০০, ৪০০ কিংবা ৫০০ টা বাসাও যদি লাগে পুরো গ্রামটা আমরা বানাবো ইনশাআল্লাহ। কেমনে বানাবো, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে। আপনারা আমার সাথে আছেন, মুরুব্বীদের দোয়া আছে, ইনশাআল্লাহ আমি পারবো। আমরা পারবো’।
ফারাজ করিম চৌধুরীর এই বক্তব্য সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দেশজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
যুবকটি ২০১৩ সালে লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে এবং ২০১৫ সালে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে আসেন। তারপর থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য সুপরিচিত। দেশের বহুজাতিক শিল্পের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাকরির সুযোগ থাকলেও ফারাজ সে পথে পা রাখেননি। যদিও বর্তমানে তিনি একজন ক্লিন ইমেজের তরুণ রাজনীতিবিদ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, তবে নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
প্রসঙ্গত, একজন এমপি পুত্র হয়ে তার মানবতামূলক কাজ সত্যিই মানবতাকে করেছে আরো গৌরবাণ্বিত। নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার হলে তিনি এক মুহূর্তও বসে থাকেন না, ছুটে যান সেই ঘটনাস্থলে। ফারাজ করিম যুবকদের জন্য একজন আদর্শ। তার মতো সবাই যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করে মানুষের পাশে থাকে তাহলে সমাজ থেকে অন্যায় একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।