একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য এবং একের এর এক কুকর্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে যেন আলোচনার শীর্ষে তুলেছিলো প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে। সমালোচনার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পদত্যাগের নির্দেশ সকলেরই কাছেই প্রশংসনীয়। অনেকেই মন্তব্য করছে মুরাদ হাসানকে নিয়ে। সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও তার সম্পর্কে এইবার কথা বললেন।
তাকে এমপি ও মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, ‘শুধু মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না, তাকে এমপি পদ থেকেও পদত্যাগ করতে হবে।এমপি পদে থাকারও নূন্যতম যোগ্যতা তার নেই।’
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান কয়েকদিন ধরে টানা নারীদেরকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে যাচ্ছিলেন। তাই মন্ত্রী ও এমপি পদে থাকার কোন অধিকার তার নেই। খবর পেলাম একটু আগে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এর মাধ্যমে প্রমাণ হল ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘শুধু মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেই হবে না। উনি জামালপুরের যেখান থেকে এমপি হয়েছেন, এই চরিত্র নিয়ে তার এমপি পদে থাকার নূন্যতম যোগ্যতা নেই। দ্রুত তার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ উনার কাছে কোনো মা বোন নিরাপদ নয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই জরুরি ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার অশ্লীল ভিডিওগুলো অপসারণ করেন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথাবার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে হবে।
এরআগে আগামীকালের মধ্যে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।
সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো মুরাদ হাসান কে। কিন্তু শুধু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগই কি সমাধান। ব্যারিস্টার সুমন এর মতে তার এমপি পদে থাকার কোন যোগ্যতা নেই। যদিও এখনো অনেক ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলবেন। এখন দেখার বিষয় ডা. মো. মুরাদ হাসানকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় কিনা।