এবার হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ওসির কক্ষ ও বাসভবন থেকে এসি সরিয়েছেন ওই থানার সাবেক ওসি রকিবুল ইসলাম খান। তিনি দুটি এসিকে নিজের বলে দাবি করেছেন। যদিও থানা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্যের বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুটি এসি বসানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ৭ আগস্ট ওসি রকিবুল ইসলাম খানকে বাহুবল থানা থেকে প্রথমে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়। পরে ১৪ আগস্ট তাকে মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়। মাধবপুর যাওয়ার সময় ওসি রাকিব বাহুবল থানার ওসির অফিস ও বাসভবনে ব্যবহৃত দুটি এসি সঙ্গে নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) আওতায় বরাদ্দ দেন ৪ কোটি টাকা। এগুলি বরাদ্দের পরেই ইনস্টল করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানার নতুন ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমি ১২ আগস্ট থানায় যোগদান করেছি। বাসভবন বা অফিসে কোন এসি পাইনি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এসি অপসারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ওসি রকিবুলের কাজের নিন্দাও করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওসি রকিবুল ইসলাম খান বলেন, অফিস বা বাসভবনে কোনো এসি নেই। খোলা এসি তার ব্যক্তিগত বলে দাবি করেন তিনি।
এমপির বরাদ্দকৃত এসি কোথায় গেল জানতে চাইলে তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওসির কক্ষ ও বাসভবনে এসি ছিল।
এ ব্যাপারে (মাধবপুর-চুনারুঘাট) সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আজ (৩০ আগস্ট) রাতে তাকে ফোন করব। মুচকি হেসে বললেন, “ভাই, ভূঞাপুর থানার ওসির ঘটনা ভুলতে পারিনি। আবার বাহুবল থানার এসি খুলে নেয়া বিষয়টা যদি সত্যিই হয় তাহলে তা খুব লজ্জাজনক। আমাদের সময়ে এসির দরকার ছিল না।
এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামকে বদলি করা হলে তিনি থানায় বসানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা সরিয়ে নিয়ে যান।