বাংলাদেশ শিক্ষার দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে। শিক্ষার মান বাংলাদেশে খুব ভালো। প্রত্যেকটি সন্তান যেন প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারে সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি জানা গেছে হাইকোর্ট জানিয়েছে প্রাথমিক স্কুলের কমিটিতে এমপিদের সুপারিশ অবৈধ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটির কাছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশের বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে কে থাকবেন সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কারও নাম পরামর্শ বা প্রস্তাব দিতে পারবেন না।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্তা।
ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ ও ২০১৯ সালের দুটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে দুইজন ইঞ্জিনিয়ারিং (পুরুষ ও মহিলা) সদস্য থাকবেন, যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য।
আইনজীবী বলেন, সাধারণত সংসদ সদস্য কারো নাম প্রস্তাব করলে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে শহিদুল্লাহ নামের এক অভিভাবক ওই প্রজ্ঞাপনের ধারা ২(২) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রুল সঠিক ঘোষণা করে রুল জারি করেন।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো শিক্ষার সর্বপ্রথম ধাপ। এই পর্যায় থেকেই সন্তানরা ধীরে ধীরে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট একটি কমিটি থাকে আর সেই কমিটি সুষ্ঠভাবে প্রাথমিক স্কুলগুলো পরিচালনা করে থাকে।