বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হলেন ড. হাসান মাহমুদ। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার থেকে কখনই দায়িত্বে অবহেলা করেননি আর তাইতো দেশের তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে এসেছে অনেক পরিবর্তন। তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে গেছেন কাজ এবং এমনকি এখনো করে যাচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেল তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়তে বলা মানে মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের কারণে এ আসনটি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ছেড়ে দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমেই আমার প্রশ্ন কে ওই এলাকার সংসদ সদস্য, ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, ওই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটার, নির্বাচন কমিশন কি তাকে এলাকা ছেড়ে যেতে বলতে পারে? ”
এটা কি তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়? কারণ তখন ঢাকা মহানগরীতে যখন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে তখন ঢাকা মহানগর থেকে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যকে চলে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতা পুরস্কারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাসান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি তাকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে। এটি করা অন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে তিনি ওই এলাকার ভোটার, ওই এলাকার সংসদ সদস্য, তাকে চলে যেতে বলা কি সঙ্গত? ঐটাই প্রশ্ন.
‘আজকের কাগজে অনেক সমালোচনা দেখলাম। আমি মনে করি তিনি এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন যা তার মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। যদি তাই হয়, ঢাকা শহরে যখন নির্বাচন হবে তখন আমরা মন্ত্রীদেরও ঢাকা শহর ছাড়তে হবে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরও ঢাকা ছেড়ে যেতে হবে। এমনটা হওয়া উচিত নয়। এখানে নির্বাচন কমিশন কী ভুল করেছে তা আগে আলোচনা করা দরকার। ‘
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এলাকা ছাড়ার নির্দেশ কোথাও দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমি মন্ত্রী ছিলাম। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, বড় হয়েছি চট্টগ্রাম শহরে, তখন ছিলাম চট্টগ্রাম শহরে। কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিইনি। সম্ভবত কোনো প্রটোকল নিয়ে বের হননি। সেখানে দু-চার দিন ছিলাম। আমিও প্রটোকল ছাড়াই বেরিয়ে পড়লাম। আপনাকে এলাকা ছেড়ে যেতে হবে, এটি বিশ্বের কোথাও নেই। সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। এটা ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কোথাও নেই। সেই আইনও বৈষম্যমূলক।
এর আগে কনটাম ফাউন্ডেশনের ব্লাড ডোনার অ্যাওয়ার্ডে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানবতার বিকাশ প্রয়োজন। যারা মানবিক কাজ করে তাদের প্রশংসা করতেই হবে। তাই আজ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে কাজ করে, মানবিক কাজ করে। আপনি যা করেন তা প্রচার করার জন্য আমি আপনাকে অনুরোধ করব। অন্যরাও উৎসাহিত হবে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডাঃ সামন্ত লাল সেন, প্রফেসর ডাঃ নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক রেজাউল হাসান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সাধারণত একজন এমপি হলেন জননেতা। জনেগনের ভোটের দ্বারাই তিনি নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাই জনগনের পাশে থাকে তাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে ঠিক এমনটাই আশা করেন জনগন। তবে সেক্ষর একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতার প্রয়োজন অনেক।