বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অতীতের থেকে অনেক গুণে বদলে গিয়েছে। যার কারণে অনেকে রাজনীতিবিদ নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে সেটা খুব তাড়াতাড়ি যাবে না, ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও। এর রদবদল হয় হওয়াটা খুব কঠিন, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এবার এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য। তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
যারা গণ মানুষের রাজনীতি করতে চান তাদের কয়েকটা বিষয় মেনে চলতেই হবে। নাহলে আপনি তাদের একজন হতেও পারবেন না। মানুষ আপনাকে বিশ্বাসও করবে না।
গণ মানুষ যেই জীবন কাটায় তার কাছাকাছি জীবনে অভ্যস্ত হতে হবে। তার মানে আপনি স্যুট টাই পরতে পারবেন না। ইন ফ্যাক্ট আপনার বাংলাদেশে স্যুট টাই পরার দরকারও নাই। ব্রান্ডেড পোশাক পরবেন না।
বিজনেস ক্লাসে ট্রাভেল করতে পারবেন না, ফ্রি আপগ্রেড করে দিলেও পারবেন না। গণ পরিবহনে যাতায়াত করবেন, খুব বেশি হলে উবেরে মাঝে মধ্যে চড়তে পারেন। হাটবেন প্রচুর। মদ সিগারেট খেতে পারবেন না। ফাইভ স্টার হোটেলে যাবেন না। এয়ার কন্ডিশনিং চালাবেন না। পারফিউম সহ কোন বিলাসদ্রব্য ব্যবহার করবেন না। পরিমিত খাবার খাবেন। দামী ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। সাধারণ বাসায় থাকবেন। বড়লোকদের সংস্পর্শে আসবেন না। সাধারণ মানুষের ভাষায় কথা বলবেন, প্রমিত ভাষা ব্যবহার করবেন না। ভালো শ্রোতা হবেন, বলবেন কম শুনবেন বেশী। নিজের কাজ নিজে করবেন কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত।
যেই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার থাকতেই হবে তা হচ্ছে প্রখর মেধা, উদ্যম, লেখাপড়া, ইংরেজি ভাষায় দখল, মজবুত শরীর।
এমন নেতা বাংলাদেশকে মাত করে দিতে পারবে। ঠিক বললাম? নাকি আরো কিছু কেউ যুক্ত করবেন?
প্রসংগত, বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমান সময়ে অনেকটা একচেটিয়া হয়ে গিয়েছে, এমন মন্তব্য করেছিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন। তবে মাঝে মাঝে তিনি কিছুটা নিরপেক্ষতার সুর দিয়ে ও কথা বলে থাকেন, তবে সেটা খুব কম। তিনি তার লেখনীতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটানোর বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন, যেটা তার নিতান্তই নিজস্ব মতামত।