বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আমেরিকা বেশ চাপে রেখেছে বাংলাদেশকে সেখানে বিরোধী মনধারী দলগুলো বেশ খুশি। কারণ তারা এটাকে তাদের সহযোগীতা ভাবছে। এবার এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তার সেই পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-
আম্রিকার সমস্যা শুধু নির্বাচনে না, রুপপুর পারমানিবক কেন্দ্রেও আম্রিকার সমস্যা আছে।
এর আগে বলেছিলাম সেন্টমার্টিন, আসলে শব্দটা স্পেসিফিক সেন্টমার্টিন নয়, ইন্দো প্যাসিফিক জোট বা কোয়াডে অংশগ্রহন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বরাবর না।
প্রতিরক্ষা চুক্তি অ”স্ত্র যুদ্ধবিমান হেলিকপ্টার কেনা বিষয়েও শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বের বাংলাদেশ রাশিয়া চায়নার উপ্রে নির্ভরশীল।
সাবমেরিন কিনে ফেললো বাংলাদেশ, যেই মানেরই হোক না কেন, সেটাও চায়না থেকে।
প্রশিক্ষন বিমান হেলিকপ্টার কিনে রাশিয়া থেকে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট সারাবিশ্বে আছে ৪৪৯ টা, এর মধ্যে আম্রিকার নিজের আছে ৯২টা, উল্লেখ্য যে আম্রিকা তার বন্ধু সহযোগী দেশের কাছেও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট সাপ্লাই করে না। ব্যাতিক্রম রাশিয়া, তার দেশের রোসাটম দিয়ে আগ্রহী দেশ গুলোতে নিউক্লিয়ার প্লান্ট স্থাপন করে দিতে কার্পন্য বোধ করে না, উল্লেখ্য যে যখন বাংলাদেশে আম্রিকার স্যাংশন খাওয়া রোসাটমের প্রেরিত ইউরেনিয়াম বাংলাদেশে এলো ঠিক ঐ মুহুর্তে সারাবিশ্ব বলতে চায়না, হাংগেরী, তুরষ্ক, মিশরে রোসাটমের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট নির্মান কাজ চলমান আছে৷
আম্রিকা যখন বিশ্বরাজনীতিতে রাশিয়াকে এক ঘরে করতে এযাবৎ কালের সবচেয়ে বেশি স্যাংশন দিয়ে বহি:বিশ্ব বানিজ্যে এক ঘরে করতে কাজ করছে, ঠিক ঐ সময়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত টাকার হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রকল্প রুপপুর নিউক্লিয়ার প্লান্টের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া, এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আম্রিকা কেন শেখ হাসিনাকে বিদায় করার রাস্তা খুজবে না?
আরে ভাই, গনতন্ত্র মানবাধিকার ইহা নিছক কল্পগল্প, যেখানে সারা পৃথিবীতে আম্রিকার মিত্র রাজতন্ত্রের দেশ, ভিয়েতনামের মতো সমাজতন্ত্রের দেশ আছে, সেখানে বাংলাদেশ নামক দেশ আম্রিকার কোন জায়গায় সমস্যার তৈরি করে?
বাস্তবতা এটাই। গেলো কয়েকদিক আগে রাশিয়া তার মিত্র ও নিরপেক্ষ ৩০ দেশের তালিকা তৈরি করলো সেখানেও রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
এখন কথা হলো, যদিও শেয়ার দিয়েছি বাইডেন কাক্কুর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সেলফি, তবে সেটা ছিলো নিছক বিএনপি জামাতিদের আতে ঘা তৈরি করতে, এছাড়া আদার্স কোন ইনটেনশন ছিলো না।
আম্রিকা বাংলাদেশের ভালো বন্ধু না, শত্রু বললে, হা এখনো, তবে উইলিয়াম বি মাইলাম ডিটেইলস বলতে পারবে, বাংলাদেশে রাষ্টদুতের দ্বায়িত্ত্বপালনকালীন সময়ে খালেদা জিয়া কোন তরকারী দিয়া ভাত খাওয়াছিলো যা এখন খাচ্ছে হাস ভাইয়া।
তবে, মনে করি শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বে বাংলাদেশের একের পর এক সাফল্যের মাইলফলক অবশ্যই যেখানে আম্রিকার কোন অংশগ্রহন নাই, এইসব নিয়ে আম্রিকার গাত্রদাহের অনেক কারন আছে। যদিও সাবলম্বি বাংলাদেশ দেখতে চাইলে এইসবে কোন সমস্যা তৈরি করবে না, আম্রিকার জ্বলতে থাকুক, রুপপুরে রাশিয়ার ইউরেনিয়াম দিয়ে বাংলাদেশ আলোকিত হোক।