বাংলাদেশের সাংবাদিকতা নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের সব প্রশ্ন। আর এই সব প্রশ্ন সব সময় উঠে থাকে তাদের আর সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতা। আর এ নিয়েই সম্প্রতি একটি বিশেষ ছবি সহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন জার্নালিস্ট জুলকারনাইন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
ভালো জোকারদের আপনি কখনো হাসতে দেখবেন না। আর খারাপ জোকার বলে কোনো ব্যাপারই নেই। তাহলে এরা কারা? এরা জোকার হিসেবে ভালো নয়; আবার এদের আপনি খারাপ জোকারও বলতে পারবেন না। ওইটুকু হওয়ার মতো বিদ্যা-বুদ্ধিও এদের নেই।
সাংবাদিকতা নাকি সমাজের দর্পণ; এই কথা যদি সত্য হয়, তাহলে বাংলাদেশের সমাজের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ও এই সমাজের ভবিষ্যত পরিণতি ভীতিজাগানিয়া। এই না-ভালো ও না-খারাপ জোকারদের দেখুন!
ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদকে তো চিনতেই পারছেন। এমন কোনো আকাম নেই, ক্ষমতার উর্দি পরে যা তিনি করেননি। অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারের ডিবি প্রধান হতে হলে নিজের সিভিতে আকামের একটা লম্বা তালিকা তো লাগারই কথা।
নানা গুরুতর অন্যায় করা হারুন যাদের দিকে আঙুল তুলে কথা বলছেন, কথা ছিলো তারাই হারুনের দিকে আঙুল তুলে রাখবেন। কিন্তু বাংলাদেশের কপালই আসলে খারাপ!
আর বাকিরা হলেন বাংলাদেশর গণ্যমান্য সাংবাদিকপাল। সর্ববাঁয়ে নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ— সব দাঁত বের করে হাসছেন যিনি; বাঁ থেকে তারপর জ. ই. মামুন, তারপর হারুনের হাতের পেছনে দাঁড়ানো সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা— নিজের সাংবাদিক পরিচয় অক্ষত রেখেই যিনি আওয়ামী লীগের পদ-পদবীতে ছিলেন, যদিও এখন আছেন কি না আমি নিশ্চিত নই; এবং সর্বডানে মাথা চুলকাতে থাকা (লজ্জায় হলে খুবই ভালো) লোকটি বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংবাদ সংস্থা বলে পরিচিত ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসাইন, যিনি দীর্ঘদিন এপির আঞ্চলিক প্রধানও ছিলেন।
সাংবাদিকতার কাজ হলো ক্ষমতাবানকে সব সময় প্রশ্নের মুখে রাখা, কিন্তু এরা সাংবাদিকতাকে এনে দাঁড় করিয়েছেন সরকারের গোয়েন্দা প্রধানের (ডিবি) আঙুলের মুখে!
যে কোনো তরুণ সাংবাদিক এদের এই পরিণতি দেখে লজ্জায় মুখ লুকাবে।
(আচ্ছা, উনারা যে গ্লাসটিকে কেন্দ্রে রেখে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, সেই গ্লাসে কী আছে? রঙটা সুন্দর)
প্রসঙ্গত, জুলকারনাইন সায়ের একটা সময়ে ছিলেন বাংলাদেশে। সে সময়েও তিনি জড়িত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে। এরপর পারি জমান বিদেশের মাটিতে।আর সেই থেকে রয়েছেন সেখানে। দেশের সমসাময়িক নানা ধরনের বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলে থাকেন সব সময়।