কয়েক দিন আগে গায়ক ইলিয়াস হোসেন দেশের একজন ক্রিকেটার সাবেক প্রেমিকা ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমাইরার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুবাহার জীবনে ইলিয়াস প্রথম স্বামি কিন্তু ইলিয়াস হোসেন এর আগেও দুজনকে বিয়ে করেন, যার কারনে এটি তার তৃতীয় বিয়ে। জানা গেছে, ইলিয়াস প্রথম বিয়ে করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি ছাত্র নিশাত আলমকে। এরপর ইলিয়াস চিকিৎসা বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নিশাতকে তালাক দেন এবং সুইডেনের স্টকহোমের বাসিন্দা করিনকে বিয়ে করেন। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী করিনকে ডিভোর্স না দিয়েই বর্তমান তৃতীয় স্ত্রী সুবাহকে বিয়ে করেন এবং তাকে নিয়ে তিনি রাজধানীর বনানী এলাকায় বসবাস করছেন।
এদিকে অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা তার বিয়ের পর সমস্যা সৃষ্টি সম্পর্কে বলেন, যদি কোনো থার্ড পারসন বা তৃতীয় পক্ষ প্রবেশ করে তাহলে জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন। গায়ক ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পর নানা জটিলতার মুখে সোমবার দিবাগত রাতে এক ফে’সবুক লাইভে তিনি এমনটাই জানান। সুবাহ বলেন, তিনি লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছেন কারণ তার সংসারটা একদম ভাঙার পথে।
স্বামী ইলিয়াসের সাথে অনেক ঝামেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনারা অনেক কিছু ভাবতে পারেন। কিন্তু জানেন কেন ডিভোর্স হয়? সংসার ভাঙে মূলত থার্ড পারসনদের কারণে। এ নিয়ে ইলিয়াসের সাথে আমার এমন ঝগড়া ও ঝামেলা হয়েছে যে- শুধু মনে হয় ডিভোর্সটাই বাকি আছে।
সুবাহ আরও বলেন, আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবীসহ সবাইকে উপস্থিত রেখে আনন্দের সাথে বিয়ে করছি খুব হ্যাপিলি। কিন্তু এটা নিয়ে যে এরকম কাহিনি-কেচ্ছা শুরু হবে, তা কখনোই আশা করিনি। এ নিয়ে ইলিয়াসের সঙ্গে অনেক কিছু হয়েছে, আমরা পারিবারিক ভাবে অনেক ঝামেলার মধ্যে আছি। তবে এটা কিন্তু আমার আর ইলিয়াসের জন্য না, থার্ড পারসনরা এসব ক্রিয়েট করছে।’
এসময় তিনি ইলিয়াসের সঙ্গে ফে’সবুক লাইভের বাকবিতণ্ডা নিয়েও কথা বলেন। সুবাহ বলেন, তখন আমাদের ঝগড়া চলছিল, তাই আমি রাগের মাথায় লাইভে আসি। কারণ আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম- আমরা কতটা অশান্তির মধ্যে আছি। লাইভে আপনারা আমাকে চিল্লাইতে ও কান্না করতে দেখেছেন। ইলিয়াস আমাকে বুঝিয়েছে- এ গুলো হচ্ছে মূলত তৃতীয় ব্যক্তির কারণে।
এই লাইভে ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী কারিন নাজকে নিয়েও মুখ খুলেন সুবাহ। তিনি কারিনের সমালোচনা করে বলেন মেয়েটা (কারিন) ভাইরাল হতে চায়। তার সাথে ইলিয়াসের বিয়ের লিগ্যাল কোনো ডকুমেন্ট নাই। কারিনের উদ্দেশ্যে সুবাহ আরও বলেন, আপনার বিয়ের লিগ্যাল কোনো ডকুমেন্ট থাকলে মিডিয়াতে উল্টাপাল্টা কথা না বলে আইন আনুযায়ী এগোতে পারেন, এভাবে পেইন দেবেন না।
সদ্য বিয়ে করা এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে আপনারা পারলে আমাদের এভোয়েড করেন, মজা নেবেন না। উল্টাপাল্টা বলে মানুষকে কনফিউজড করবেন না। ইলিয়াসের সাথে আমার আড়াই বছরের পরিচয়। আমরা ভালোবেসে জেনে-শুনেই বিয়ে করেছি। কেউ কাউকে জোর করিনি। সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হয়নি। তাই আপনারা ভুল বুঝে থাকলে আমাকে মাফ করবেন। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন- যেন ভালো থাকি।
সুবাহ বলেন, ইলিয়াস এবং করিনের সাথে লিভ-টুগেদার সম্পর্কে ছিল। এমন বিষয় উল্লেখ করার মাধ্যমে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানি করিন ইলিয়াসের সাথেসেই ভাবে সংসার করেনি তারা শুধু লিভ টুগেদার করেছিলেন। কারণ ওই বিয়ের কোনো আইনি বৈধতা নেই। মেয়েটি বিদেশে থাকে, তিন বছর ধরে বাংলাদেশে আসেনি। শুধু মোবাইলে কথা বলা কি সংসারী নাকি? আমি জানি কারিন ও তার মায়ের বিদেশে ও বাংলাদেশে অনেকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। কারিন সবসময় একটি মানসিক অস্থিরতার মধ্যে রাখতেন ইলিয়াসকে। ইলিয়াসের আপনজনেরা সবাই জানত যে তারা তাদের বিবাহিত জীবনে সুখী ছিল না। আর ওই নারী ৩ বছর বাংলাদেশে যাননি, কোনো শারী’রিক সম্প’র্ক হয়নি।