হেলিকপ্টারে করে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে তিনি বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বন্যা মোকাবেলার দিকনির্দেশনা দেবেন।
বন্যা কবলিত সিলেট অঞ্চলে পদ্মা সেতুর কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিং করেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ৬৪ জেলায় উৎসব করার সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলেট ইস্যু পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সব সময় আলোচনা হচ্ছে। বুধবার পদ্মা সেতু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু বলবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সংযোগকারী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে অনবদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের অবস্থানকালে এবং পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় অনবদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় লো ফ্লাই মোডে উড়বে, যাতে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে দেখতে পারেন। বন্যা কবলিত এলাকা ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছান।