ভালোবাসার টানে অনেক সময় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ঘর ছাড়েন। তবে এমনও ঘটতে দেখা যায়, মনের মানুষকে সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে, প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে অনশনে বসতে দেখা যায়। এবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা নামক গ্রামে সুমন নামের এক ২৫ বছর বয়সী যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন ৩৬ বছর বয়সী চার সন্তানের জননী এক গৃহবধূ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমণিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই গৃহবধূ। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিক সবুজ ওই ওয়ার্ডের রহিম ফরাজীর ছেলে।
ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তিন বছর ধরে সবুজের সঙ্গে তার পর”কীয়া চলছিল। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকবার সবুজ গৃহবধূদের কাছে আসা যাওয়া করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পারেন তার স্বামী ও চার সন্তান। পরে স্বামী তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে সবুজকে বিষয়টি জানালে সে তাদের প্রেমের কথা অস্বীকার করে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় অভিযুক্ত সবুজ ও তার বাবার নামে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সবুজের বাবা রহিম ফরাজীকে আটক করে। পরে স্থানীয় মাতবরা ফয়সালা করে দেবেন বলে সবুজের পিতা রহিম ফরাজিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনলে ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ফয়সালা না হওয়ায় রাতে গৃহবধূ বাধ্য হয়ে প্রেমিক সবুজের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন।
গৃহবধূ বলেন, সবুজ আমার সম্মান নষ্ট করেছে, সবুজ বিয়ে না করলে আ”/ত্মহনন করবে। এদিকে চার সন্তানের মা অনশনে যাওয়ার পর থেকেই সবুজ বাড়ি থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত। এ সময় স্থানীয়রা প্রেমিকার বাড়িতে ভিড় জমায়। আসামি সবুজ পলাতক থাকায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না।
দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই সবুজ জানান, গৃহবধূর স্বামী কয়েকদিন আগে লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত সবুজকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা রহিম ফরাজীকে আটক করা হয়।
মো. শাখাওয়াত হোসেন যিনি দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, অনশন করছেন কোনো গৃহবধূ এই ধরনের বিষয়ে নিয়ে এ পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি, তবে কেউ যদি থানায় অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত করার মাধ্যমে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।