বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে একরকম আশাহীন কথা জানিয়ে দিয়েছে আইনমন্ত্রনালয় এবং স্বরাস্ট্রমন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে। স্বরাস্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আইনগত কোনো দিক নেই, অন্যদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বেগম জিয়াকে আবেদন করতে হলে তাকে ফের জেলে থেকেই আবেদন করতে হবে। এই বিষয়গুলো থেকে অনেকটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বেগম জিয়ার আপাতত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি সরকার দিতে পারছে না। তাই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যার কারনে বিএনপি কঠোর আন্দোলনের পথে হাটতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এদিকে কক্সবাজার শহরে একই স্থানে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (২ জানুয়ারি) রাতে কক্সবাজারেরর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (৩ জানুয়ারি) ভোর থেকে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ স্বরণি সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ স্বরণি সড়কে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডাকে কক্সবাজার জেলা বিএনপি। সমাবেশে অংশ নিতে ইতোমধ্যে কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছেছেন বলে কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামীম আরা স্বপ্না জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল জানান, ইতোমধ্যে আগামী সোমবারের সমাবেশকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন, সকলকে অবহিত করেছি। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ সকলে সহযোগিতা করবে সেটাই প্রত্যাশা করছি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, দুটি পক্ষের কর্মসূচির কারণে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতির শ’/ঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্যে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। ১৪৪ জারির নথি থানায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর হয়তো মাইকিং করা হবে।
আবু সুফিয়ান যিনি কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি এ বিষয়ে জানান, দুই পক্ষ একই স্থানে যেহেতু কর্মসূচি দিয়েছে সেহেতু সেখানে যেকোনো সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, তাই কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ করার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সব রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকানোর জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর আছে। ১৪৪ ধারা জারি করার বিষয়ে সে সংক্রান্ত একটি নথি থানায় পাঠানোর জন্য সব রকম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের অবগতির জন্য মাইকিং করা হতে পারে।