মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ডজন মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রোববার (১০ ডিসেম্বর) মানবাধিকার দিবসের আগে, ইরানের কিছু কর্মকর্তাসহ ১৩টি দেশের ৩৭ জন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পড়লেন। খবর: রয়টার্স
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার দিবসের সার্বজনীন ঘোষণাকে সামনে রেখে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রশাসন এ ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইরান, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিরিয়া, উগান্ডা, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো, হাইতি, লাইবেরিয়া, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ সুদান এবং সুদানের নাগরিক রয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট গত বছর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৫০ টিরও বেশি ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমেরিকানরা যারা তাদের সাথে নির্দিষ্ট লেনদেনে জড়িত তারাও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ সময় জানানো হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য দায়ী বা জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এই তালিকায় বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।