হিরো আলম রাজনীতিতে ২য় বারের জন্য ফের আলোচনায় এসেছেন। এবার তিনি বিপুল পরিমান ভোট পেয়েছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচনেরভোট গননার প্রথম দিকে তিনি এগিয়েছিলেন, শেষ দিক এসে তিনি সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এই বিষয়টিকে হিরো আলম পূনরায় খতিয়ে দেখার জন্য সিইসির দ্বারস্থ হয়েছেন। একতারা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে এ আদেশ দেন সিইসি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিইসি ফোন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। বগুড়া-৪ উপনির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পর তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর নন্দীগ্রাম উপজেলার সবকটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল পুনঃ যাচাই করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলের সাথে ইভিএম মেশিনে পড়া ভোটের সংখ্যা ১০০% নির্ভুল। প্রয়োজনে হিরো আলম কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জয়ের আশা হারিয়েছেন। তিনি ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট এবং একতারা প্রতীকে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
তবে বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, তিনি এই ফলাফল মানেন না। সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে, কিন্তু দেখানো হয়েছে আমি ভোট পাইনি। আমার এজেন্ট ভোট শেষে কাগজ চেয়েছে, তাদের কাগজ দেওয়া হয়নি। কোনো কোনো স্থানে দেখানো হয়েছে আমি মাত্র ২৮ ভোট পেয়েছি, কিন্তু ওখানকার মানুষজন বলছেন তারা আমাকে ভোট দিয়েছেন।’
তবে হিরো আলমের ভোট ঘিরে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি এমন কথা ইসি বললেও অনেক বিরোধী দলীয় নেতারা মানতে পারেনননি। এদিকে হিরো আলম দাবি করেছেন, তার মতো একজন মানুষকে শিক্ষিত মানুষের স্যার বলে ডাকতে হবে এটা কোনো ক্রমে মানতে না পেরে তাকে পরাজিত করানো হয়েছে।