মিহির নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে এসে অভিনেত্রী হুমাইরা হিমুর মৃ/ত্যুর কথা বলেন। রোববার ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এতে মিহিরকে হিমুর বাড়িতে তার প্রেমিকের উপস্থিতি, তার মৃ/ত্যুর সময়কার ঘটনা এবং তার নিজের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিহির মোমোন রিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
ভিডিওতে মিহির নিজেকে হিমুর মেকআপ ম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।১০ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওটির শুরুতে মিহির তার মানসিক অবস্থা প্রকাশ করে। তিনি বলেন, হিমুর মৃ/ত্যুর পর অনেকেই তাকে (মিহির) নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করছেন। তারা তাকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।
তিনি নিজে কোনো অপরাধ করেননি। কোথাও পালিয়ে যাননি। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে হিমুর স্বজনদের সহায়তা করছেন।
ভিডিওর এক পর্যায়ে মিহির উত্তরার বাসায় হিমুর প্রেমিকের উপস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “হিমুর সঙ্গে কিছু হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখতে পেলাম না। আমি অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্তু তার প্রেমিক রুমে ছিল। আমি কল্পনাও করিনি যে সে হিমুর সাথে ঝগড়া করবে বা খু/নিখনি হয়ে যাবে, মারিমারি হবে।
‘
মিহির বলেন, “সে (বয়ফ্রেন্ড) যখন আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়েছিল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করছিলাম তুমি যখন রুমে ছিলে তখন ঘটনাটা কিভাবে হলো। সে বললো সে বাথরুমে ছিল। একজন বাথরুমে থাকবে আরেকজন ফাঁসি দিয়ে ফেলবে এটা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না। কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
ভিডিওতে মিহির বলেন, ‘আমার মনে হয় হিমুকে ফাঁসি দিতেই পারে। হিমু ফাঁসি দেয়নি। হিমু খুব স্ট্রং।
নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উল্লেখ করে মিহির বলেন, “আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে আসছি। কিন্তু এখন ফেসবুকে আমাকে নিয়ে যা শুরু হয়েছে তাতে মানসিক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি হতাশায় রয়েছি। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পুরো মিডিয়ার লোকেরা দায়ী থাকবে। যারা উঠে পড়ে লেগেছেন তারাই দায়ী থাকবেন।
মিহির আরও বলেন, যেকোনো মুহূর্তে ডিবি, র্যাব, পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে ফোন করলে আমি হাজির হব। কোথাও পালাবো না। আমি পালানোর ছেলে নই। আমি কোনো অপরাধ করিনি।’