স্বাক্ষরকে বলা যায় মানুষের লিখিত একটি পরিচয়। সাক্ষর এমন একটা বিষয় যেটা প্রতেকটা মানুষকে আলাদাভাবে চিনাতে সাহায্য করে। স্বাক্ষর এমন একটি বিষয় যেটার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক অনেক কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে যেটা আমরা বাস্তব জীবনে দেখতে পারি যেটার গুরুট্ব অপরিসীম। কিছু কিছু সাক্ষর দেখতে খুবই দৃষ্টিনন্দন হয় আবার কিছু কিছু সাক্ষুর হাসির ও সমালোচনার সৃষ্ট করে। সম্প্রতি একটি সাক্ষর তেমনি হাসির উদ্রেক করেছে। সাক্ষরটিকে দেখে সবাই মনে করছে যে এইটা হয়তো কোনো প্রাণীর স্কেচ। একজন শিক্ষিত লোকের স্বাক্ষর যদি এমন হয় তাহলে বিষয়টা আসলেই খুবই বিব্রতকর।
বহু মানুষের বহু রকম স্বাক্ষর দেখা যায়। স্বাক্ষর যেন কেউ নকল করতে না পারে, সেজন্য অনেকেই নিজের স্বাক্ষরে ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেন। অনেকেই চেষ্টা করেন, তিনি ছাড়া আর কেউ যেন স্বাক্ষরটি করতে না পারে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্বাক্ষর ভাইরাল হয়েছে। তা নিয়ে মিমের বন্যা বইছে। কেউ রসিকতা করে বলেছেন, স্বাক্ষরকারী হয়তো সজারু আঁকতে চেয়েছিলেন। আবার অনেকেই এই স্বাক্ষরের সঙ্গে পেখম মেলা ময়ূরের সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন। স্বাক্ষরটি ভারতের ( India ) গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের ( Guwahati Medical College ) অস্থি বিভাগের রেজিস্ট্রারের বলে দাবি করা হচ্ছে। রমেশ ( Ramesh ) নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এই স্বাক্ষরটি শেয়ার করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, আমি অনেক ধরনের স্বাক্ষর দেখেছি। কিন্তু এটি সর্বশ্রেষ্ঠ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাক্ষরটি শেয়ার হওয়ার পর কেউ কেউ এই স্বাক্ষরের সঙ্গে সজারুর তুলনা টেনেছেন। কেউ আবার ড্যান্ডেলিয়ন ফুলের ছবি দিয়ে তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অনেকে আবার আরো বিচিত্র স্বাক্ষর পোস্ট করেছেন।
ভাইরাল হওয়া গুয়াহাটি কলেজের সেই স্বাক্ষরের নীচে তারিখ দেওয়া ৪ মার্চ। স্বাক্ষরের উপরে লেখা ‘ভেরিফায়েড’। এটি নিয়ে রসিকতা করে অনেকে তার ওপর রঙ লাগিয়ে সজারু কিংবা ময়ূরও এঁকে দেখিয়েছেন।
সাক্ষর একটি মানুষের পরিচয় বহন করে থাকে। সাক্ষর সুন্দর ও সাবলীল হওয়াটা অত্যাবশ্যক। সবাই চায় তার সাক্ষর যেন কেউ নকল করতে না পারে কেননা সাক্ষর খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়। স্বাক্ষর দিয়ে মানুষ তার অনেক মুল্যবান কাজ করে থাকে। কেউ যেন সাক্ষর নকল করতে না পারে তাই প্রত্যেকে চায় তার স্বাক্ষরটা যেন স্পেশাল হয় কিন্তু স্বাক্ষর অতিরিক্ত স্পেশাল করতে গিয়ে সেইটা যে হাসি আর ব্যঙ্গত্মক বিষয়ে পরিণত হবে সেটা সত্যিই কাম্য নয়।