বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। ৩০ লক্ষ্য শহীদের প্রাণের বিনিময়ে এদেশ পেয়েছে স্বাধীনতা। রাষ্ট্রভাষা বাংলা করতে এবং দেশকে পাকিস্থানি হানাদার বাহীনির কাছ থেকে ছিনিয়ে আনতে দেশের দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজের প্রাণের মায়া না করে দেশের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে নিজেকে। সম্প্রতি জানা গেছে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া এমএনএ, এমপিএদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট।
রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস বাহিনী ছাড়াও, ১৯৭০ সালে নির্বাচিত NMAs (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য) এবং এমপিএ (আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য) যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন তাদেরও একটি তালিকা সংকলন করা হবে।
সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিলের প্রতিবেদনে এ ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান খান সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর আগে গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ উত্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সংসদে উত্থাপিত বিলটিতে বলা হয়েছে যে, ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য বা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, অথবা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র সংগ্রামে নিয়োজিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা বা হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য কাজ করে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে যুদ্ধাপরাধের সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
সংসদীয় কমিটির কাছে মুজাহিদিন বাহিনী এবং শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা রয়েছে, সেইসাথে এমএনএ এবং এমপিএ যারা 1970 সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং এমএনএ এবং এমপিএ যারা পাকিস্তান সরকার কর্তৃক উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিল। খালি আসন। করার বিধানের সুপারিশ করেন।
বিলে কাউন্সিলের আট সদস্যকে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এই আটজনকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হতে হবে।
প্রসঙ্গত, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহীনির সাথে জোট বেঁধে দেশকে পাকিস্তানের অংশ করতে চেয়েছিল তারা দেশ ও ও জাতির শত্রু। দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে দেশকে শত্রুদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল তারা কখনই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারেনা।