সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ নিয়ে নানা ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করে থাকে। এবার দেশটির মন্ত্রনালয় ২০২৩ সালে যারা হজ পালন করতে সৌদি আরবে যেতে ইচ্ছুক তাদের বয়স সীমা নির্ধারন করে দিলেন। তবে এই ঘোষনায় হজ পালনেচ্ছুকদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করেছে।
সোমবার মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, ২০২৩ সালে হজ ভিসা পেতে যাত্রীর বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সী যে কোনও যাত্রী বা যাত্রীর পক্ষে হজ ভিসার জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার এ বছর যারা হজ করার পরিকল্পনা করছেন তাদের নিবন্ধনের গুরুত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে; বিশেষ করে যারা প্রথমবার হজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের অবশ্যই ভিসা পেতে নিবন্ধন করতে হবে।
এই নিবন্ধনের জন্য ‘আবশের’ নামে একটি অ্যাপও চালু করেছে সৌদির সরকার। জুনের শেষ থেকে এ বছর হজ মৌসুম শুরু হবে। তীর্থযাত্রীদের কমপক্ষে ২ মাস আগে এই অ্যাপে তাদের নাম নিবন্ধন করতে হবে।
হজ ইসলামের প্রধান ৫টি স্তম্ভের একটি। এই ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, হজ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ।
সৌদি নাগরিক এবং বাসিন্দাদের পাশাপাশি, প্রতি বছর বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ হজ পালন করতে দেশটিতে যান। তবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে ২ বছর ধরে সীমান্ত বিধিনিষেধের কারণে হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি বিদেশি হজযাত্রীরা।
এখন অবশ্য সেটা আর নেই। মঙ্গলবার হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিদেশি যাত্রীদের কোনো বিধিনিষেধের বাধায় পড়তে হবে না।
হজ হল সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে একটি বাৎসরিক ইসলামী তীর্থযাত্রা, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং যা সামর্থ্যসম্পন্ন প্রতিটি মুসলিমকে তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও করা উচিৎ।. হজ সাধারণত পাঁচ দিন স্থায়ী হয়, সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান তীর্থযাত্রার আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মক্কায় ভ্রমণ করে। হজ হল আধ্যাত্মিক পুনর্নবীকরণের একটি সময় এবং মুসলমানদের জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস প্রকাশে একত্রিত হওয়ার একটি সুযোগ।