স্বল্প বয়সী এক ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে আসেন সহকারী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার। এরপর তার আত্মহননের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় নতুন করে আলোচনা। তিনি ভালোবেসে তার নিজের বয়স থেকে ১৮ বছর বয়সের ছোট এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি সামাজিকভাবে কটূক্তির মুখে পড়েন এবং সেইসাথে তার আত্মীয় স্বজনদের চাপের মুখে পড়েন। তবে ৪০ বছর বয়সী খায়রুন এতে খুশি ছিলেন না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
খায়রুন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহনন করেছেন বলে দাবি করেন খায়রুনের স্বামী মামুন। কিন্তু, এবার মায়ের প্রয়ানের জন্য মামুনকে দায়ী করেছেন খায়রুনের ছেলে। উল্লেখ্য, খায়রুন এর আগে অন্য একজনকে বিয়ে করেছিলেন। সেই সম্পর্ক থেকেই তাদের একটি সন্তান রয়েছে। পরে অবশ্য খায়রুন তার আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। খায়রুন ও তার প্রথম স্বামীর ছেলে সালমান বিনতে এখন মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, তিনি বলেন, “মা জানিয়েছিল মামুন বিয়ের চার মাসের মধ্যে দু’টি মোটরসাইকেল কিনেছিল। প্রথমটির মূল্য ছিল এক লাখ ৪৪ হাজার, দ্বিতীয়টির মূল্য ছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। কিন্তু, এতেও সন্তুষ্ঠ হয়নি মামুন। টাকার জন্য মায়ের উপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে অ/ত্যা”চার করত।” তিনি মামুনের ক”ঠোর শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, সহযোগী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মৃ”ত্যুর ঘটনায় নাটোর থানায় একটি অপমৃ’ত্যুর মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর মামুনকে প্রধান আসামি হিসেবে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খায়রুন নাহারের প্রয়ানের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যেটা করা হয়েছে, সেটা এখনো পুলিশের নিকট জমা দেয়া হয়নি। তাই এই মামলটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে যেতে পারছে না পুলিশ।