তাসলিমা আক্তার, বয়স প্রায় পঁচিশের কাছাকাছি। টাকা ও সম্পত্তির লোভে আরিফুল ইসলাম নামে এক বিবাহিত যুবককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর টাকা ও সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় স্বামী আরিফুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন তসলিমা। ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীকে ইয়া// বা দিয়ে ফাঁসানোর নানা কৌশল শুরু করে। কিন্তু র্যাবের কাছে হাতেনাতে আটকে পড়ে সে।
স্বামীকে ইয়াবাসহ আটক করার অভিযোগে তাসলিমা আক্তার (২৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খিজিরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাসলিমা আক্তার বোয়ালখালী এলাকার জালাল আহমেদের মেয়ে। র্যাব জানায়, মাদকের মজুদের খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা মনে হওয়ায় প্রথমে তসলিমার দেহ তল্লাশি করেন এক নারী র্যাব সদস্য। এ সময় তার কাছে ৫০ পিস ইয়াবা ছিল। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই কক্ষের সিরামিক স্টোরেজ কার্টন থেকে ৪৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তসলিমা স্বীকার করেছে যে, স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য সে নিজেই ইয়াবা কিনে বাড়িতে রেখেছিল এবং র্যাবকে জানায়। তার স্বামী তাকে তার প্রথম স্ত্রীর চেয়ে কম টাকা দিয়েছে। এছাড়া তার স্বামী চট্টগ্রাম শহরে একটি ফ্ল্যাট তার নামে লিখতে রাজি হননি। এতে সে তার স্বামীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, সম্পত্তি রেজিস্ট্রি না করায় তসলিমা নিজেকে ইয়াবার ফাঁদে ফেলেছেন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করে তাকে বোয়ালখালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খিজিরপুর গ্রাম থেকে নিষিদ্ধ দ্রব্যসহ এক নারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তসলিমা বোয়ালখালীর জালাল আহমেদের মেয়ে। র্যাব জানায়, নিষিদ্ধ দ্রব্য মজুদ করার খবর পেয়ে র্যাব এ অভিযান চালায়। পরে বিষয়টি সাজানো মনে হওয়ায় প্রথমে তসলিমার দেহ তল্লাশি করেন এক নারী র্যাব সদস্য। পরে তার কাছে অবৈধ জিনিস পাওয়া যায়।