তিনি আমির খানের দঙ্গল-এ ববিতা ফোগাটের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ভারতীয় অভিনেত্রী সুহানি ভাটনগর। এই চরিত্রটি তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তার অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। একই সঙ্গে সৃষ্টি হয় সংবেদন। কারণ ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার সুহানির মৃত্যুর নতুন তথ্য দিলেন তার বাবা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুহানির বাবা পুনীত ভাটনগর। তিনি বলেন, অভিনেত্রী ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামক বিরল রোগে ভুগছিলেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এটি একটি বিরল অবস্থা। যা ত্বক, পেশী, ফুসফুসসহ শরীরের একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে।
পুনীত আরও জানান, মাস দুয়েক আগে থেকে সুহানির হাত ফুলতে শুরু করে। এ সময় তাকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। কারণ এটাই ছিল এই রোগের একমাত্র ওষুধ।
স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সুহানির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তার ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশেও জল জমে। যে কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। গত ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৯ বছরের এক তরুণী।
উল্লেখ্য যে আমির খান অভিনীত দঙ্গল সিনেমাটি 2016 সালে মুক্তি পায়। আমির এই ক্রীড়া ভিত্তিক বায়োপিকে মহাবীর সিং ফোগাটের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যিনি একজন অপেশাদার কুস্তিগীর ছিলেন এবং তাঁর কন্যা গীতা ফোগাট এবং ববিতা কুমারীকে বিশ্বমানের মহিলা কুস্তিগীর হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
ছবিতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাতিমা সানা শেখ ও সানিয়া মালহোত্রা। তাদের শৈশব চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুহানি ভাটনগর এবং জাইরা ওয়াসিম।
সিনেমা মুক্তির পর অভিনয় থেকে বিরতি নেন সুহানি। তিনি শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। পড়াশোনা শেষে অভিনয়ে ফিরতে চেয়েছিলাম। সেই ইচ্ছা অধরা থেকে গেল।