বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক ও ঐতিহ্যবাহী একটি দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে এ দলটি। আর এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সমস্থ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বিশেস প্রকল্প নিয়ে রীতিমতো কাজ করছে এ সরকার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাত উপজেলার ৮৩৪টি বাড়ির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সরকারের দেওয়া গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনিয়মের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
গতকাল ২০ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এ তথ্য জানান।
তার দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগীয় মামলার অপর দুই আসামি উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী। এদের মধ্যে রাঙামাটি জেলায় কর্মরত রয়েছেন ইউএনও রুমানা আক্তার ও সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাদের বদলি করা হয়। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাত জেলায় ৮৩৪টি বাড়ির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বাড়ি উদ্বোধন করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের সহকর্মী অনিয়ম করেও ছাড় পাননি। এক সহকর্মীর স্বামী ফোন করে অনেক কথা বললেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক তদবির হয়েছে।
এর আগেও একবার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল ইউএনও রুমানা আক্তার ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আর ঐ অভিযোগের আলোকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়েছিল তাদের। তবে এ ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও অনিয়মের অভিযোগে এবার মামলার আসামি হতে হলো তাদের।