চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু ”হ”ত্যা”র ঘটনায় তদন্তে এবার বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। মিতুকে হ”ত্যা”র মূল পরিকল্পনাকারী আর কেউ নয়, তারই স্বামী ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তার নিজেই। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই করেছিলেন তিনি। আর এরই ধারাবাহিকতায় ৩ লাখে ”খু”নি” ভাড়া করেন বাবুল।
একসময় বিশ্বস্ত লোকদের দিয়ে তার স্ত্রীকে সরিয়ে দেন করেন। মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাবুল আক্তারের সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা। আরেকটি সূত্র জানায়, এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া অ’স্ত্র’ সরবরাহ করে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৯ জন জড়িত ছিল।
এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে দেওয়া চার্জশিটে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলামের কাছে অভিযোগপত্রটি হস্তান্তর করেন সংস্থাটি। এরপর আদালতে জমা দেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম বলেন, পিবিআই মিতুর ঘটনার মামলায় চার্জশিট আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। চার্জশিটে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা হাসান বলেন, ” এ মামলার তদন্ত শেষ করে আমরা চার্জশিট দাখিল করেছি। বাবুল আক্তারকে মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাটির তদন্তভার পেয়েছিলাম। আড়াই বছরের তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মামলাটি তদন্ত করেছি। পেশাদারিত্বের বাইরে পিবিআই কখনো তদন্ত করে না।’
এদিকে এই মুহূর্তে শশুরের দায়ের করা এক মামলার আসামি হয়ে কারাগারের চার দেয়ালের মাঝে দিন কাটছে সাবেক এই এসপির। তার বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগের আলোকে তদন্ত চলমান রয়েছে।