ঘরের কথা পরে জানলো ক্যামনে? এই বাগধারাটি বাংলায় বেশ প্রচলিত একটি বাগধারা, যেটা নিয়ে অনেকেই রসিকতা করে থাকেন। এবার এই প্রচলিত কথাটি যেন বাস্তব রূপেই ঘটলো কোহলি আনুশকার জীবনে। বেডরুমের একটি ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় যেন যারপরনাই চটে গেছেন কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মা। হোটেল রুমের ভিডিওটি প্রকাশের পর বেশ ক্ষু’ব্ধ হয়েছেন আনুশকা। ভিডিওটি করা প্রসংগে তিনি বেশ নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন।
কোহলি বাড়িতে না থাকাকালীন তাঁর বাড়িতে প্রবেশ কর ভিডিও রেকর্ড করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না এই অভিনেত্রী। কারো ব্যক্তিগত জীবন এভাবে বের করে আনাকে তিনি অপরাধ মনে করেন।
হোটেলের ঘরে তোলা ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন কোহলি নিজেই। সেখানে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন আনুশকা।
তিনি লিখেছেন, ‘অতীতে আমিও এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। তবে এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। কোহলিকে অপমান করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন সেলিব্রিটিদের এগুলো সহ্য করতে হয়। তবে সবারই একটু সংযম থাকা উচিত। যদি এটা আপনার বেডরুমে হত তা হলে কী হত?’
বিশ্বকাপের ফাঁকে এই ঘটনায় অনেকটা ভীত হয়ে পড়েছেন কোহলি। তিনি ই’নস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি জানি, ভক্তরা তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে দেখে সবসময় খুশি হন, তার সাথে দেখা করতে চান। আমি তাঁকে সম্মান করি। কিন্তু এই ভিডিও দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি। আমার হোটেল রুমে যদি আমার গোপনীয়তা সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে তা কোথায়?’
কোহলি ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি এই ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই ধরনের ভালোবাসা চাই না। কারো ব্যক্তিগত জায়গায় এভাবে প্রবেশ করা ঠিক নয়। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। তাদের বিনোদনের পণ্য বানাবেন না।’
যাইহোক, ক্ষোভ রগড়ে গেলেও, তাদের কেউই আপাতত তদন্ত বা ব্যবস্থা নেবার জন্য সাইবার ক্রা’ইমে কোনও অভিযোগ জানায়নি। আনুশকা বলেন, আমি চাইলে অভিযুক্তকে পুলিশে দিতে পারি। কিন্তু এই আমি সতর্ক করে দিলাম। দয়া করে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ থেকে বিরত থাকুন।’
এদিকে কোহলির হোটেল রুমের ভিডিও শেয়ার করার বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং হোটেল কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে বরখাস্ত করেছেন বলে জানা গেছে। কোহলির বেডরুম এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশের পর সেটা খুব কম সময়ের মধ্যে ভাই’রাল হয়ে যায়।