গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের অন্যতম একটি অধিকার হল ভোটাধিকার। নির্বাচনে দূর্নীতি হচ্ছে এই ধরনের অভিযোগ করছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। অনেক সময় দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন এলাকার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধও। এবার এক নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনকে ঘিরে। জানা গেছে, প্রার্থীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তিনি অর্থ আদায় করেছেন।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে যুগান্তরে এই নির্বাচন কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতি এবং ব্যাংকে জমা ঘুষের টাকা নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গাজীরটেক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর রউফ ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসানুল হক মামুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে অর্থাৎ ৮ অক্টোবর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ লাখ ৫ হাজার টাকা তার সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা রয়েছে। তবে তদন্তে টাকার সঠিক উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। ঘুষ হিসেবে আড়াই লাখ টাকা নেওয়ার পরদিন অভিযোগকারীদের ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি শাখা-প্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। দিনে দিনে দেশের দুর্নীতি বেরে গেলেও সেটি প্রতিরোধ করতে, এখনো পর্যন্ত তার সুষ্ঠু কোনো সমাধান হয়নি।
নির্বাচন কর্মকর্তা প্রার্থীদের জিম্মি করে, অর্থ আদায়ের সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এলাকাবাসী তার শুধু সাময়িক বরখাস্ত নয়, তাকে চাকরীচ্যুত করার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, এই ধরনের দূর্নীতি যাতে আর না ঘটে সেদিকে নজর দিতে প্রশাসনিক বিভাগকে।