সাধারণত দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধে সর্বদা নিজেকে ব্যস্ত রাখাই কেবল একজন পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে থাকেন সকলেই। আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যারা পুলিশের পোশাক পড়ে রীতিমতো নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন, তাদেরকে কি বললেন? অবাক করা হলেও বাস্তবে আজ এমনটাই ঘটছে সারা-দেশজুড়ে।
জানা গেছ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের আট তলা বাড়ি ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ হাইকোর্টের নজরে এনেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন।
এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হয়।
আদালত দুদকের সিনিয়র আইনজীবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
পরে আদালত ব্যারিস্টার সুমনকে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলেন।
গত ৪ আগস্ট প্রথম আলোতে ‘ঢাকায় ওসির বিপুল সম্পদের আটতলা বাড়ি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রথম অংশে বলা হয়, ঢাকায় তার আটতলা বাড়ি রয়েছে। আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জে তার চারটি প্লট রয়েছে। বাড়ি ও প্লটসহ এই বিশাল সম্পত্তির মালিক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়। তবে পুলিশ সূত্রে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।
পুলিশ পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে পুলিশ মহলে আলোচনা চলছে। বর্তমানে নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করেছেন, পুলিশের পোশাক পড়েই ওসি মনিরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরেই নানা অনিয়ম করে আছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কামিয়েছেন বিপুল অর্থ।