সম্প্রতি রাজশাহী গোদাগাড়ীর রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করে আলোচনায় আসেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর। পরে বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সংবাদ সংন্মেলন করেন বিষয়টি অস্বীকার করেন। শুধু তাই তার ফাঁস হওয়া ফোন রেকর্ডটিও সঠিক বলে দাবি করেন। অধ্যক্ষেকে মারধরের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি যা বলল।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষকে পে/টানোর প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
গোদাগাড়ীর রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পে/টানোর ঘটনায় গত ১৪ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩২তম সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পে/টানোর প্রমাণ তুলে ধরে এই ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলা হয়।
তবে বিধান না থাকায় অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে পিটিয়ে আহত করা সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করেনি এই তদন্ত কমিটি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। তাতে কলেজ শিক্ষককে পেটানোর বিষয়গুলো উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আমরা তা উল্লেখ করেছি। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
এর আগে গত ৭ জুলাই রাতে রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন শপিংমল ওমর প্লাজার চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে চেম্বারে ডেকে সাত শিক্ষকের সামনে হকি স্টিক দিয়ে মা/রধর করা হয়। এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সংসদ সদস্য নিজেই।
এ সময় এমপি ফারুক চৌধুরীর বেপরোয়া লাথি, কিল-ঘুসি ও হকিস্টিকের আঘাতে অধ্যক্ষ সেলিম রেজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ ও রক্ত জমাট বাঁধে। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন অধ্যক্ষ। তবে পরে সংবাদ সম্মেলনে কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, এমপি তাকে মা/রধর করেননি। এগুলো সবই মিথ্যা ও ষ/ড়যন্ত্র। ওই দিন এমপির চেম্বারে অধ্যক্ষরা একটি বিষয় নিয়ে নিজেরা নিজেরাই মা/রামারি করেছেন। পরে এমপি তাদেরকে নিবৃত করেছেন। তার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটি তার ভয়েস নয়, এটি সুপার এডিট করা।
প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় সম্পূর্ণ জড়িত ছিলেন এই সাংসদ বলে তথ্য প্রকাশ করেন তদন্তে থাকা কর্মকর্তা। তবে তারা ঘটনার সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেননি।