মুদ্রাস্ফীতি কমাতে নীতিগত সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন রেপো রেট হবে ৭.২৫ শতাংশ। বুধবার (৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সাধারণত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে। পরে তারা তা সুদসহ পরিশোধ করে। মূলত, একই নীতিকে সুদ বলা হয়।
আর্থিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নীতিমালা বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে ব্যাংকের গ্রাহক পর্যায়েও সুদের হার বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে গতকাল মুদ্রানীতি কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে দুবার রেপো রেট বাড়ানো হয়েছিল। এখন তারা আবার তা বাড়িয়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করা অর্থের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় বাড়বে। এছাড়া ঋণ ও আমানতের সুদও বাড়বে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাধারণত তা বাড়লে মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখতে আগ্রহ দেখায়।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তের পেছনে আইএমএফের পরামর্শ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। তারা সুদের হার আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করে। এটি আগে জানুয়ারিতে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সুদের হার বাড়লে তা হবে ‘ঘাড়ে ক্ষতমড়ার উপর খাঁ/ড়ার ঘা’। ব্যবসায়িক ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রপ্তানি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এখন সে অর্থে নতুন কোনো শিল্প নেই। ডলারের অভাবে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমছে। এটি আরও কমলে কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন ডলারের প্রয়োজন। সেজন্য রেট নির্ধারণ না করে বাজারভিত্তিক করা উচিত। এটি প্রথমে কঠিন হবে। তবে রেমিটেন্স বাড়বে।