বাংলাদেশে নিয়োজিত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলো নাথালি চুয়ার্ড। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে তার মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে থাকেন প্রায়। সুইচ রাষ্ট্রদূত তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুইচ ব্যাংকে অর্থ জমা রাখার বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। সম্প্রতি জানা গেছে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য প্রত্যাহার ছাড়া কোনো উপায় নেই এমনটাই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সুইস রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি প্রত্যাহার করা ছাড়া উপায় নেই। তার বক্তব্য রাষ্ট্রকে বিব্রত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৪ আগস্ট) মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি।
হাইকোর্ট বলেন, রাষ্ট্রদূত কীভাবে বাংলাদেশিদের টাকা জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি- তা আমরা বুঝতে পারছি না। এ সময় হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আপনার যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য স্ববিরোধী।
এর আগে রোববার সকালে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ-এর প্রতিবেদন হাইকোর্টে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউ থেকে চাওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ সর্বশেষ গত ১৭ জুন সংস্থাটির কাছে এই তথ্য চেয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ ও অন্যান্যরা ধারণা করছে বাংলাদেশীদের অনেকেই দেশের টাকা আত্মসাৎ করে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে রেখেছেন সেই টাকা। এই প্রসঙ্গে সুইচ রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন সুইচ ব্যাংক কালো টাকা গচ্ছিত রাখার কোনো স্বর্গরাজ্য না।