সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় থেকে দীর্ঘ ৬ মাস প্রেমের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে নিজের বয়সের তুলনায় অনেক ছোট যুবককে বিয়ে করে সংসার পাতানোর মাত্র ৭ মাসের মাথায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমাতে হলো আলোচিত সেই নাটোরের কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারকে (৪৫)। তার মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকাজুড়ে বইছে ব্যাপক শোরগোল।
রোববার সকালে নগরীর বল্লারীপাড়া এলাকার একটি বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তার /লা/শ/ উ/দ্ধার করা হয়। খায়রুন স্বামী মামুন হোসেনের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ সুপার (এসপি) রিটন কুমার সাহা জানান, টাকা নিয়ে গত শনিবার রাতে মামুনের সঙ্গে খায়রুনের ঝগড়া হয়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে মামুন বাসা থেকে বের হন। এরপর খায়রুন তাকে ফিরে আসার অনুরোধ করলেও তিনি ফিরে আসেননি। এরপর সকাল ৬টার দিকে বাড়ি ফিরে খায়রুনকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে /ঝু/ল/তে দেখেন। এরপর মামুন গ্যাস লাইটার দিয়ে ওড়না জ্বা/লিয়ে খায়রুনের দেহ নামিয়ে আনেন।
এসপি বলেন, মামুন খায়রুনের টাকা ভোগ করলেও আগের বাড়ির ছেলেকে টাকা দিতে চায়নি। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
এসপি রিটন কুমার সাহা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারাও প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ওই কলেজ শিক্ষক আ//ত্মহ/ন/ন করেছেন। তবে এ ঘটনায় তার স্বামী মামুন উসকানির অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।
এসপি আরও বলেছেন, তারা ঐ দম্পতির ভাড়া বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। তাতে রাত ২টা ১৭ মিনিটে মামুনকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যায়। ওই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জেলগেটের আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তাতে মামুনকে কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
খায়রুনের চাচাতো ভাই নাঈম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর খায়রুন টাকা দিয়ে মামুনের জন্য দুটি মোটরসাইকেল কিনেছিলেন। মামুন এখন আবার নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কেনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এসব কারণে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে মা/রা/ করা হতে পারে।
মামুন দাবি করেন, দুপুর ২টার দিকে খায়রুনের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি ওষুধ নিতে বাজারে যান। ফিরে এসে দেখলেন দরজা খোলা। পরে বেডরুমে খায়রুনকে /ঝুল/ন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তবে ঐ কলেজশিক্ষিকার স্বজনদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবেই মামুন তাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকেই নানা আবদার করতে থাকে মামুন। আর এরই জের ধরে মামুন তাকে শেষ করে দিয়েছে।