জমজম এর পানি সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত একটি নেয়ামত। আর এই জমজম অবস্থিত সুদূর মক্কা নগরীতে। তবে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পানি আমদানি করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। তবে এবার এ নিয়ে জানা গেলো নতুন একটি খবর।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত পবিত্র জমজমের কুপের পানি বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে যেখানে এই জমজম কুপের পানি বিক্রি হয়।
এর আগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে অভিযান চালান সংগঠনের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয় প্রধান আব্দুল জব্বার মন্ডল।
এ সময় কয়েকটি দোকানে অভিযান চালানো হয়। বাজারে আতর-টুপির দোকানে জমজমের পানি পাওয়া যায়। এই পানি দেশে এলো কিভাবে? এই পানি আসল নাকি নকল, এই পানি বিক্রি করা কি বৈধ? এসব বিষয়ে বিক্রেতার কাছে জানতে চান ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
জমজমের পানি ব্যবসায়ী বলেন, হজ বা ওমরাহ থেকে বাড়ি ফেরার সময় হাজীরা জমজমের পানি নিয়ে আসেন। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পানি এনেছেন হাজিরা। পরে বাজারে অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
এই পানি আসল না নকল সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কোনো ধারণা নেই। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিশ্বাসের ভিত্তিতে পানি ক্রয়-বিক্রয় করছেন।
জমজমের পানি বিক্রির বৈধতা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, বৈধভাবে কেউ জমজমের পানি আমদানি করে না। উপস্থিতি সঙ্গে আনুন. এটি হাজিদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করা হয়। জমজমের পানির চাহিদা থাকায় তা ভালো দামে বিক্রি হয়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এমন ঘটনারও নজির রয়েছে। সাধারণ পানি বোতলজাত করে অনেকেই বিক্রি করেছেন সেই পানি জমজমের পানি বলে চালিয়ে। আর এই কারণেই এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।