বিশ্বখ্যাত ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান একের পর এক ব্যবসায় নামছেন। এদিকে তার ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক সুনাম থাকা সত্বেও তিনি ব্যবসার বিস্তরণ ঘটাচ্ছেন। এবার হঠাৎ করে সাকিব আল হাসানের একটি দুষ্কর্মের খবর শোনা গেল। শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারিতে তিনি ফেঁসে যেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। শেয়ারবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরোর কারসাজি তদন্তে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের কোম্পানিসহ ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম বেরিয়ে এসেছে। সাতটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্ত প্রতিবেদনে শাকিবের কোম্পানি মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে তাকে জরিমানা করা হয়েছে। সাকিব ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে মুখ খুললেন আইনজীবী ও সমাজকর্মী ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন।
বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় সুমন বলেন, ‘আপনারা জেনেছেন যে, আমাদের গর্বিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের একটি জুয়া কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। বিসিবির হস্তক্ষেপে তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন। আমি তাকে ৩ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলাম। এখন আমরা জানি যে কয়েকদিন আগে যে শেয়ার কারসাজি হয়েছে তাতে সাকিবও জড়িত, তার নাম এখানে। যারা এই কারসাজি করেছে তারা গত কয়েক দিনে শেয়ারবাজার থেকে ১৩৭ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে। এতে তারা লাভবান হয়েছে। আমাদের কথা হলো, সাকিব আল হাসানের দেড় কোটি ফলোয়ার আছে, তিনি এই ফলোয়ারদের জন্য মডেল। তারা এখন শাকিবের কাছ থেকে কী শিখবে?’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আরেকটি মজার কথা শোনেন, সাকিব আল হাসান শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের শুভেচ্ছাদূত। সাকিব দুদকের শুভেচ্ছাদূতও ছিলেন। এখন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুদকের শুভেচ্ছা দূতের ক্ষেত্রে যদি এমন হয়, তাহলে এর পরিণত কোথায় দাঁড়ায়! টাকা ছাড়া, লুটপাট ছাড়া, জুয়া ছাড়া এই মানুষটা কিছুই বোঝে না। ’
ক্রিকেটে সাকিবের অবদানকে অস্বীকার করছেন না সুমন, ‘ক্রিকেটে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত। আমরা অনেকেই তার ফলোয়ার, আমাদের প্রিয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এর জন্য আমরা যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তার বিনিময়ে আমরা কতটা ক্ষতি নেব? সে যা খুশি তাই করছে। সোনার ব্যবসা করছেন, শেয়ার কারসাজিতে জড়িত। এমন কিছু বাদ নাই উনি করতেছেন না। এটা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। ‘
সুমন দুদকের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, দুদকের শুভেচ্ছাদূত যদি এখনও থেকে থাকেন, তাহলে কি তাকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে, আমার এই প্রশ্ন দুদকের কাছে। ‘
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ টাইগার দলের একজন নামকরা ক্রিকেট খেলোয়াড়। গুঞ্জন উঠেছে তিনি বিশ্বকাপের পর অবসরে যেতে পারেন। এদিকে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যবসা খুলেছেন ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। ইতিমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত রয়েছেন। এরই মধ্যে এই দু:সংবাদ পেলেন সাকিব আল হাসান।