Donews24 News Website!
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, ইস্পাতের মতো কঠিন গণ ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকারকে হ’ঠিয়ে আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। গনমানুষের অধিকারকে বাস্তবায়ন করবো। বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে তাদের সকল ধরনের অধিকার লু’/ন্ঠ’ন করে নিয়েছে সরকার। আমরা সেই মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে দেব। সেটা করার জন্য বর্তমান এই সরকারের পতন অবশ্যই আনতে হবে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটাধিকার সবই আমাদের লক্ষ্যে থাকতে হবে। আমাদের আরো বড় ধরনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করে এই সরকারকে হ’টিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সং’হতির আহ্বায়ক মহসিন সরকারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ আগামী নির্বাচনে যাবে না, যেতে পারে না। এর সঙ্গে বলতে চাই সেই নির্বাচন ইনশাআল্লাহ করতেও দেওয়া হবে না।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
মোশাররফ বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ করতে হবে। এর জন্য আমাদের একটি শক্ত এবং কার্যকরী আ’ন্দো/লন গড়ে তুলতে হবে। জনগণ আ’/ন্দো’লনে নেমে পড়তে প্রস্তুত, আপনারা কথা বলে জানতে পারবেন, জনগণ এই সরকারকে বিদায় জানাতে চায়, তারা পরিবর্তন চায়।
যদি এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হয়, যদি দেশের গনমানুষের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে এ দেশের গনমানুষের অধিকারকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, ভোটের অধিকার মানুষকে আবার ফিরিয়ে দেওয়াটা এখন সকলের উচিৎ। এই লু’/ট’তরাজ অর্থনীতি হতে যদি দেশকে রক্ষা করতে হয় তাহলে তাহলে এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া আমাদের অন্য ধরনের কোনো উপায় নেই। যদি সরকারকে তার ক্ষমতা থেকে সরানো যায়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।
