হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের দুর্জয় মোড়ে রোডমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
“হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির জন্য প্রস্তুত থাকুন। আগামীতে আরও কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে মাটিতে শো/য়ায়ে দেওয়া হবে।।”
সরকার পতনের দাবিতে ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত ১৫৯ কিলোমিটার পদযাত্রা করবে বিএনপি।
তার আগে এই জনসভায় গয়েশ্বরও বলেছেন, শেখ হাসিনা এবার যাবেন। কবে যাবে কেউ জানে না। এখন তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি কোথায় যাবেন। কোন দেশ তাকে ভিসা দেবে? কোনো দেশ তাকে ভিসা দেবে না। তার যাওয়ার সময় এলে শেখ হাসিনার পালাবার পথ থাকবে না।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে সরে যেতে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। তাহলে হয়তো দেশে থাকতে পারবেন।
এদেশের মানুষ আর এই সরকার চায় না, বলেন গয়েশ্বর।
আওয়ামী লীগ বলছে, আমরা (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে এক লাখ মানুষ মা/রা যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে ১৮ কোটি মানুষ মা/রা যাবে।
দিনে ভোট হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাতে আর ভোট হবে না। দিনের ভোট সেদিনই করতে হবে। রাতে আর ভোট হবে না।
এখন দেশের মানুষের কাছে শেখ হাসিনার কোনো মূল্য নেই। এই সরকারের কোনো দাম নেই দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, দেশে একটাই জিনিসের দাম কমেছে আর সেটা হলো শেখ হাসিনা ও তার সরকার। বাংলাদেশের মানুষ আর শেখ হাসিনার সরকার চায় না।
এ আন্দোলন বিএনপির নয়, এ আন্দোলন জনগণের মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ অন্যায়, অবিচার ও নি/পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাস্তায় নেমেছে। এই আন্দোলন বিএনপির নয়, এই আন্দোলন জনগণের।
স্থানীয় নেতারা জানান, রোডমার্চটি সকালে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুর হয়ে বিকেলে সিলেটে পৌঁছাবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে।
ভৈরব থেকে সিলেটের পর ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ এবং ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপি।
এর আগে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।