দেশের আর্থিক সংকটের সম্মুখীন পড়ার কারনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। দেশের টাকা যাতে সাধারন কোন প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে না যায় সে বিষয়ে সরকার সজাগ দৃষ্টি রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি নিয়ে শিথিলতা আরোপ করেছে তবে সেখানে রয়েছে শর্ত। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বিদেশ ভ্রমণের চারটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
১. পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা/বিশ্ববিদ্যালয়/দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ/ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
২. সরকারের সাথে বিভিন্ন বিদেশী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট/বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের অধীনে আয়োজিত বিশেষায়িত/পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
৩. বিদেশি সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
৪. সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন সেবা/পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
যাইহোক, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, অপারেশনাল এবং ডেভেলপমেন্ট বাজেটের অধীনে এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতায় এক্সপোজার ডিজিট/স্টাডি ট্যুর/বিদেশ ভ্রমণ/ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ করা হবে।
একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সীমিত আকারে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেশকিছু পর্যায়ে সরকার শিথিলতা আনবে বলে জানা গেছে। এদিকে রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য সরকার যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলো এখনও বজায় রেখেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার বিবেচনাপ্রসূতভাবে অনেক নিয়ম বদল করতে পারে এমনটাই জানা গেছে।