উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে চলতে নানা দুর্নীতি-অনিয়ম। আর এই তালিকায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বরং রয়েছেন সরকারের বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তারাও। তবে একটি বিষয় আজ স্পষ্ট যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি যেই করুক না কেন, ছাড় পাচ্ছে না কেউই। প্রত্যেককে আইনের কাঠগড়ায় দাড়াতে হচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার সরকারি সকল চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি বার্তা দিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, দুর্নীতি করলে সরকারি আমলা-কর্মকর্তাদেরও শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, দেশে বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলোতে কিছু দুর্নীতি হয়। তবে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তারা হয়তো এটা বলতে পারে যে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। কিন্তু এটা বলতে পারে না যে, নির্বাচন হতে দেব না। নির্বাচন কমিশন এখানে দুটি দলের মধ্যে রেফারির মতো কাজ করে। তাদের যদি সেই রেফারির প্রতি বিশ্বাস না থাকে তবে কথা বলতে হবে, চুপ করে থাকা যাবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা এখনো দাসত্বের মানসিকতাই পড়ে আছি। সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের নিজেদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বক্র, তা আরও সুন্দর করতে হবে। বিজ্ঞান, আধুনিকতা, প্রযুক্তির দিকে এগোতে হবে আমাদের এই একুশ শতকে।
‘এলডিসির গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে এই ছায়া সংসদে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
এর মধ্যে- বিকাশমান ওষুধ শিল্প পেটেন্ট সুবিধা বাড়ানোর জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা; এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমানো; রাজস্ব আহরণে বৈচিত্রতাসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি করা; বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে মানোন্নয়ন প্রতিবেদন তৈরি করে মানব সম্পদ উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা; ব্যাংকিংসহ পুরো আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে খেলাপি ঋণ কমানো; বাংলাদেশের লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বদৌলতে ধীরে ধীরে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এর পেছনে শুধু পুরুষেরই নয়, বরং নারীদেরও সমান অধিকার রয়েছে। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে এ সরকার।