আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশে নয় আন্তজার্তিক মহলেও আলোচনাসহ বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছে বন্ধদেশ গুলো। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ সরকারের তাগিদ দিয়ে বলা হচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করা হবে না। কারন দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন সরকারকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে যা বললেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
দলীয় সরকার কিংবা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি—এমনটা জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘অনির্বাচিত সরকারকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। কীভাবে এই সরকারের পতন ঘটানো যায়, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর যুবদল (উত্তর-দক্ষিণ) এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হ/ত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি ইভিএম বুঝি না, ইভিএম চিনি না। কাজেই আগামী নির্বাচন ইভিএমে, না কি অন্যভাবে—সেটা বিষয় নয়, বিএনপি দলীয় সরকার কিংবা শেখ হাসিনাকে দায়িত্বে রেখে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয় বিএনপি। বরং আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি কিভাবে এই সরকারকে পতন করা যায়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে থাকে, হতে পারে, তাহলে প্রয়োজনে আপনাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, বিচার হবে। আমরা যদি তখন বেঁচে নাও থাকি, আপনাদের বিচার করার লোকের অভাব হবে না।’
ক্ষমতাসীন দলের উন্নয়নের সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এত উন্নতি হলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন, পদত্যাগ করুন। জনগণ খুশি হলে আপনাকে নির্বাচিত করবে, আমরাও মেনে নেব। আমরা বেশি কিছু চাই না—আমরা একটাই চাই, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।’
‘বিএনপি একটি পতিত দল’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য, আব্বাস বলেছেন, ‘জেলে যিনি বলেছিলেন জীবনে আর রাজনীতি করবেন না, আজ বলছেন- বিএনপি একটি পতিত দল। আমার কথা হলো, বিএনপি যদি পতিত দল হয়, তাহলে বিএনপিকে এত ভয় কেন? বিএনপিকে সভা-সমাবেশ, মিছিল-সমাবেশ করতে দিতে চান না কেন?
পদ্মা সেতুতে সেলফি তোলায় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা ব্যক্তি এক নয়, এটা বুঝতে হবে। আমার বক্তব্য হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হয় পুরস্কৃত করা উচিত নয়তো নির্দেশ ভঙ্গের জন্য তিরস্কার করা উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন নয় সরকারকে হটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেন বিএনপি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই অনির্বাচীত সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।