Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার সমাবেশ নিয়ে সুর পাল্টালেন কাদের

এবার সমাবেশ নিয়ে সুর পাল্টালেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশের অনুরোধ করা হলেও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না থাকায় সমাবেশ হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

গণতন্ত্র আছে এবং থাকবে। আর আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে হরতাল করছে তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন,

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ হচ্ছে না। আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বড় পরিসরে হচ্ছে না, যা হবে ঘরোয়াভাবে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্রের বরপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ, আইনজ্ঞ, বাঙালি কার্যনির্বাহী পরিষদ ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করার জন্য ১৯২৬ সালে ইনডিপেনডেন্ট মুসলিম পার্টি এবং ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন।২৩ জুন ১৯৪৯-এ তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের বিজয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি শ্রমিকসহ এসব এলাকার অবহেলিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি নাবিক, রেলওয়ের কর্মচারী, পাট ও সুতা মিলের কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে উত্থাপন ও সংগঠিত করেন। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তানি সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ২৪ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।

About Babu

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *