Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / এবার সমাবেশে সং”ঘাত নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনল বিএনপি

এবার সমাবেশে সং”ঘাত নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনল বিএনপি

গণসমাবেশকে ঘিরে সং/ঘর্ষ, ভাঙচুর ও অ/গ্নিসংযোগের প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। তারা স্থিরচিত্র, ভিডিও, মিডিয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। এসব ঘটনার জন্য সরকার বিএনপি ওপর দায় চাপাতে পারে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। কিন্তু যাদের বিশ্বাস করা দরকার তাদের কাছে ঘটনাগুলো বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কারা এর সঙ্গে জড়িত দেশবাসী ও বিদেশিদেরও জানা দরকার। তাই দলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ ছিল। এতে লাখ লাখ নেতাকর্মী অংশ নেন। ভাঙচুর ও অ/গ্নিসংযোগের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন না। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করাসহ কারা এ সব করেছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও এসেছে। দলের পক্ষ থেকে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কাজ চলছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি। এছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা, আইনজীবী। তারা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং স্থির চিত্র সহ তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। কাজ শেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ও একাধিক ভাইস চেয়ারম্যানের মতে, দলের মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সমাবেশ পণ্ড করার ঘটনায় তারাও হতবাক। দলটি এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। অতীতের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন এবং কোনো ধরনের উস্কানিতে পা না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীদের ঢাকায় কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হয়।

এমনকি সরকারকে আরও নিশ্চিত করতে আয়োজক জেলায় চিঠি দিয়ে নেতাকর্মীরা গণসমাবেশ শেষে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নেবেন। নেতারা মনে করেন, অনুমতির পরও মহাসমাবেশে উসকানি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটিয়েছে সরকার। কারণ, সরকার প্রথম থেকেই আশঙ্কায় ভুগছিল যে, তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে জনরোষ হবে। তাই এ ধরনের মহাসমাবেশ বা জমায়েত জ/নস্রোতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। তা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে পরিকল্পিত ভাবে মহাসমাবেশ পণ্ড পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “পুলিশ ও আওয়ামী লীগের স/ন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে সমাবেশে হামলা ও গু/লি চালায়। এ ঘটনায় সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। তারা জনগণকে ভয় পায়। তাই রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এটা সাময়িক, টিকে থাকা সম্ভব নয়।

বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা ভেবেছিলেন জামায়াতের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যার প্রভাব বিএনপির সাধারণ সভায় পড়তে পারে। এ কারণে উভয় দলই ইতোমধ্যে তাদের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু প্রধান অতিথিসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বক্তব্যের আগে পুলিশ সাউন্ড গ্রে/নেড, রাবার বু/লেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুরো সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করে দেবে তা ভাবেনি।

এতে সরকার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা। কারণ বিএনপির আন্দোলনের শুরু থেকেই স/হিংসতা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সব কর্মসূচি সফল হয়েছে। যা দেশের মানুষসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। তবে, তারা মহাসমাবেশকে ঘিরে দেশের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন, যা মহাসমাবেশ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছিল। মহাসমাবেশ পণ্ড ঘটনায় সরকারের দ/মন-পী/ড়ন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন দল কীভাবে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করেছে তাও প্রমাণিত হয়েছে।

তবে পুলিশ সদস্যকে হ/ত্যা, বাসে আ/গুন দেওয়া, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হা/মলার ঘটনায় দলটির নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য সংগ্রহ কমিটির এক নেতা বলেন, তারা এখন পর্যন্ত যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। জনগণকে শতভাগ সত্য তথ্য জানাতে চাই।

চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত : এদিকে সরকারের ভূমিকা ও চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রোববার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র জানায়, শনিবারের সমাবেশে পণ্ড করার জন্য সরকারকে দায়ী করে স্থায়ী কমিটি।

সমাবেশের আয়োজন পণ্ড থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘটনা সরকারের ছক অনুযায়ী হচ্ছে বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এখানে বিএনপি চাইলেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না। আন্দোলন কর্মসূচি এগিয়ে নিতে সারাদেশে একটি নির্দেশিকা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

চলমান আন্দোলন ফলাফল আসবে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির এক নেতা। তবে তার আগেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সবাইকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাই সম্ভাব্য সব কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। কে এবং কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে তাও বলা হয়েছে। দায়িত্বশীল নেতারা সর্বত্র বার্তা দিচ্ছেন।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *