ফের হিরো আলম সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, রবিন্দ্রসঙ্গীত গান বিকৃত কন্ঠে গাওয়া নিয়েও ব্যাপক ট্রলের শিকার হয়েছেন। এ কারনে তিনি এবার আইনি জটিলতায়ও পরতে যাচ্ছেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গানটিকে ‘ম্যাস-সোর্সড’ আখ্যা দিয়ে মুছে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের মালিক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বৃহস্পতিবার হিরো আলমকে নোটিশ দেন।
আবারো সমালোচনার মুখে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। শুধু তাই নয়, এবার বিকৃতভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার দায়ে হিরো আলমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গানটিকে ‘ম্যাস-সোর্সড’ আখ্যা দিয়ে মুছে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। তবে হিরো আলম শনিবার ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তিনি কোনো আইনি নোটিশ পাননি। এছাড়া নিজের গান নিয়ে তার পাল্টা প্রশ্ন, এক হিরো আলম গান নষ্ট করছেন? আর কেউ গানের বারোটা বাজছে না? শুধু আমিই দায়ী! এদিন তাঁকে নিয়ে করা অহেতুক সমালোচনার স্পষ্ট জবাব দিলেন গায়ক। তার কথায়, বাংলাদেশে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এসেছিলাম। মানুষের ভিড় এড়াতে প্রশাসন আলাদা নিরাপত্তা দিয়ে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করে। সেই ঝলককে বিকৃত করে মিডিয়ার মিথ্যা অপপ্রচার, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে!
এরপর তার পক্ষে যুক্তি, তিনি গান গাইতে ভালোবাসেন। তার গানগুলোও তার ভক্তদের প্রিয়। তাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেছেন তিনি। ইদানীং, অন্যান্য ইউটিউবাররাও তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাকে না জানিয়ে তারা তার গান তাদের চ্যানেলে প্রকাশ করছে। আপত্তিকর মন্তব্য সহ। শিল্পীর কথায়, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে সবার আপত্তি মেনে নিয়েছি। তার পরেও সেই গানের প্রসারের পেছনে আমার কোনো হাত নেই। হিরো আলমের আরও ক্ষোভের জন্য, তিনি একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। গায়ের রং কালো। এ নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন। তাই তার বিরুদ্ধে অহেতুক বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত হিরো আলমের জন্য, এর কোনোটিতেই তার কোনো হাত ছিল না। একইসঙ্গে মানুষ ভালোবাসে না, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন এই দাবিও। তাই তিনি দুই বাংলায় বিখ্যাত।
উল্লেখ্য, হিরো আলম একজন ডিস ব্যাবসায়ী ছিলেন। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি চলচ্চিত্রের জগতে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা পদার্পন করেন। তার অভিনয়গুলো অনেকটা ব্যাতিক্রম ধর্মী হওয়া তিনি অল্প সময়ের ব্যাবধানেই আলোচনায় চলে আসেন।