কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক বোলিং কোচ ও জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিকের মৃ/ত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পরে, স্ট্রিক নিজেই বলেছিলেন যে খবরটি ভুয়া। কিন্তু এবার সত্যিই চলে গেলেন।
তার স্ত্রী নাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটারের মৃ/ত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৪৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন। তবে চলতি বছরের শুরুতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অবশেষে তিনি ক্যান্সারে কাছে হার মানলেন।
স্ট্রিক ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার, তিনি জিম্বাবুয়ের হয়ে ৬৫টি টেস্ট সহ ১৮৯টি ওয়ানডে খেলেছেন। তিনিই একমাত্র বোলার যিনি জিম্বাবুয়ের হয়ে ১০০ টেস্ট উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের জার্সিতে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও তার। ৪৫৩ উইকেট নিয়ে সবার উপরে তিনি। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তিনি এককভাবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন।
ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখেছেন স্ট্রিক। টেস্টে ১ হাজার ৯৯০ রান এবং ওয়ানডেতে ২ হাজার ৯৪৩ রান। সাদা পোশাকে হা/রারেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি।
কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলেছেন। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, তিনি কাউন্টিতে ইয়র্কশায়ারের অধিনায়কের জন্য দুই বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ক্লাবের অধিনায়কের দা/য়িত্বে ছিলেন।
যাইহোক, ২০০৭ মৌসুমে একটি খেলায় অধিনায়কত্ব করার পর, তিনি সেই বছরের ২৫ এপ্রিল ইয়র্কশায়ারের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইএসএল) যোগ দেওয়ার পর কার্যত তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।
তিনি তার কোচিং ক্যারিয়ারে জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, গুজরাট টাইটানস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দলের সাথে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালের মে মাসে, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।
মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে আসা স্থপতিদের মধ্যে তিনিও একজন। এ ছাড়া তিনি দুই মেয়াদে (২০০৯-১৩ এবং 2২০১৬-১৮) জিম্বাবুয়ের কোচ ছিলেন।
তবে কিংবদন্তি অলরাউন্ডারের শেষটা সুখের হয়নি। ২০২১ সালে, আইসিসি তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য 8 বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। শেষ পর্যন্ত অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে চলে গেলেন এই জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি।