সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। ফলে নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটচ্ছে সমাজ ব্যবস্থায়। এমন ঘটনার কারনে বিভিন্ন দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে তাদের পরিবার। এ সব ঝামেলার কারনে ভেঙ্গে পড়চ্ছে অসংখ্য পরিবার। শেষ পর্যন্ত তারা আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। এমন ঘটনায় এবার ঘটল ভোলার লালমোহন উপজেলায় বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাসায় অবস্থান করছে এক তরুণী।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রেমিকের বাড়িতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী এসে হাজির হয়েছেন। এ সময় প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পিয়াস উপজেলার পশ্চিম চারুমেদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নেছার ডোবাইয়ের ছেলে।
জানা গেছে, পিয়াসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে প্রেম হয় ওই ছাত্রীর। মেয়েটির বাবা-মা এরই মধ্যে ঢাকার জীবন নামের এক ছেলের সঙ্গে তার বাল্যবিবাহ দিয়েছেন। তবে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করলেও ১৭ দিনের মাথায় শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে লালমোহন উপজেলায় প্রেমিক পিয়াসের বাড়ি চলে আসে ওই ছাত্রী। এ সময় সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক।
এদিকে মেয়েটির বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তারা মেয়েকে নিতে চান না। পালিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে আসায় স্বামী জীবনও স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, পিয়াসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। কিন্তু ১৭ দিন আগে বাবা-মা তাকে জোর করে বিয়ে দেয়। আমি বিয়েতে রাজি হইনি। বিয়ের পরও পিয়াসের সাথে ইমোতে প্রতিদিন যোগাযোগ ও কথা হতো। ইমোতে পিয়াস তার বাসার ঠিকানা দিলে আমি ঢাকা থেকে একা এসেছি।
পিয়াসের চাচাতো ভাই রাফিজ জানান, যে মেয়েটি এসেছে। তার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। যদি মেয়েটির বয়স হতো ও বিয়ে না হতো তাহলে আমরা পিয়াসের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করতাম। এখন সেটা আর সম্ভব নয়। পুলিশ ও মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সম্পর্কে জড়িয়ে ওই তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে এসেছে তবে তাকে গ্রহন করতে রাজি হয়নি সেই প্রেমিক। কারণ হিসেবে ওই তরুণী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার ও তার বিয়ের হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।